করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট এখন কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রেও মাথাব্যথার কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। ইস্যুটি নিয়ে চিন্তিত, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এমনটা চলতে থাকলে তার চড়া মাশুলও দিতে হবে বাংলাদেশকে তারা উত্তরণের উপায় হিসেবে সরকারের সঙ্গে দেশীয় গণমাধ্যমকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
একে তো করোনা নেগেটিভের ভুয়া সার্টিফিকেট তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম। উদ্বেগটা এখন আর তাই দেশে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও।করোনার ভুয়া সার্টিফিকেটের জেরে গেলো ১০ জুন প্রথম বাংলাদেশের সঙ্গে সব ফ্লাইট বন্ধ করে জাপান। পরবর্তীতে একই কারণে একে একে বন্ধ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, আরব আমিরাত ও তুরস্ক। যার সবশেষ তালিকায় যোগ হয় ইউরোপের দেশ ইতালি। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেশটি। সেই সঙ্গে খবরটাও ফলাও করে দেখায় দেশটির গণমাধ্যম।
এদিকে, একের পর এক বাংলাদেশ থেকে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, তার মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যাপক অনিয়মের খবর যোগ করেছে বাড়তি উদ্বেগ।বিশ্লেষকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট দেশগুলোতেই সেই প্রভাব সীমাবন্ধ থাকবে না। বরং, এমন খবরে প্রভাব পড়বে, যেকোন দেশে ঢোকার ক্ষেত্রেও।
সংকট উত্তরণে সরকারের পাশাপাশি সংবাদ পরিবেশনে দেশের গণমাধ্যমকেও সচেতন থাকার পরার্শও দিচ্ছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা ও সম্ভাব্য সংকট থেকে বাঁচতে, রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে সব অনিয়ম দূর করতে হবে এখনই।