নেত্রকোনা শহরের মুক্তারপাড়া এলাকার সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপাতালে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। পদ্মা সেতুর নামানুসারে তিন নবজাতকদের নাম রাখা হলো স্বপ্ন ,পদ্মা ও সেতু। তিন সন্তানের জননী শখ করে ছেলের নাম স্বপ্ন এবং দুই কন্যা সন্তানের নাম রেখেছেন পদ্মা ও সেতু।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনা জেলা শহরের মুক্তারপাড়া এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপাতালে হাঁসি আক্তারের সিজারের মাধ্যমে এই তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। সিজারের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার আফরিন সুলতানা, এনেসথেসিয়ার দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মাকসুদুর রহমান।
আজ শুক্রবার দুপুরে তিন নবজাতককে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাচ্চাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন।
সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজার মো. এনামুল লতিফ বলেন, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান শিয়াধার ইউনিয়নের খুরশিমুল দাসপাড়া গ্রামের প্রসূতি রুমেনা আক্তার হাসি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আফরিন সুলতানা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই তিন শিশুর প্রসব করান।
মা হাঁসি আক্তার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেছেন, আগামীকাল বাংলাদেশের গর্বের সেতু পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। যেহেতু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন এর পূর্বে আমার সন্তানদের জন্ম হয়েছে, সেজন্য আমি ওই সেতুর নামানুসারে ছেলের নাম রেখেছি স্বপ্ন আর দুই মেয়ে নাম রেখেছি পদ্মা ও সেতু। ওরা যেন সুস্থ থাকে ওরা যেন পদ্মাসেতুর মতোই বিশ্বব্যাপী আলোকিত মানুষ হয়ে উঠে এই আমার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।
নবজাতকদের পিতা শেখ সাদী খান বলেছেন, নবজাতক তিনজনের সুস্থতার দায়িত্ব আল্লাহর হাতে। সবার কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি যাতে আমার সন্তান তিনজন সুস্থ থাকে। ওদেরকে যেন আমি মানুষের মত মানুষ করতে পারি।
সিজারের দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত ডক্টর আরিফিন সুলতানা জানান, সেন্টাল প্রাইভেট হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সিজারে একসাথে তিন সন্তান প্রসব হলো। আমরা সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেছি। যেন তিন নবজাতক সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় থাকে ।
হাসপাতালের মালিক ফেরদৌস হাসান অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন, সিজারের মাধ্যমে প্রথমবারের মত একসাথে তিন সন্তান এই সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসব হল। মা ও তিন নবজাতক সম্পূর্ণভাবে সুস্থ আছে। আমরা হাসপাতালে পক্ষ থেকে বিশেষ নার্সিং এর ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে ওই তিনজন সন্তানের কোনো শারীরিক সমস্যা না হয়।