বেড়েছে দর্জি শিল্পীদের কর্মযজ্ঞতা। ইতোমধ্যে দিনরাত নতুন পোশাক তৈরির কাজে একটানা কাজ করতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় পর করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার আসন্ন ঈদুল ফিতরে জমে উঠেছে ত্রিশাল উপজেলার পোশাক তৈরি কারিগরদের ব্যস্ততা।
কয়েকটি দর্জির দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দর্জি দোকানগুলোতে পুরোদমে চলছে হাতের তৈরি পোষাকের কাজ। এসকল দোকানে দোকানে চলছে নতুন পোষাক তৈরির হিড়িক। মেঝেতে কাপড়ের স্তুপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার তৈরী পোশাক। সেলাই মেশিনের লাগামহীন একটানা খটখট আওয়াজ। এর মধ্যেই নেয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুয়ায়ী কাপড় কাটার কাজও। কয়েক বছরের তুলনায় দোকানীদের এমন ব্যস্ততার পাশাপাশি ক্রেতাদের ভীড়ও বেশি দেখা গেছে দর্জি শিল্পের দোকানগুলোতে। দোকান গুলোতে থ্র-পিছ ২শ ৫০ থেকে ৩শ, প্যান্ট ৫শ, শার্ট ৩শ, পাঞ্জাবী ৪শ ৫০ থেকে ৫শ, বোরকা ৪শ থেকে ৪শ ৫০ টাকা মুজুরি নেওয়া হচ্ছে। আগের তোলনায় ঈদ উপলক্ষে সেলাই মুজুরি কিছু করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্রেতা হোসেন মিয়া, শামিম, মাহাবুল আলম ও আব্দুর রহিম জানান, ঈদুল ফিতর আসতে আর তেমন সময় নেই। যারা রেডিমেট পোশাক তেমন পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দ মতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা ভিড় করছেন দর্জি দোকানগুলোতে।
আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান মার্কেটের এশিয়ান টেইলার্সের কাপড় ব্যবসায়ী টেইলার্স মাস্টার সোহেল মাহমুদ জানান, আমরা ১৫ রোজার পর থেকে আর পোষাক তৈরির অর্ডার আর নিচ্ছি না। কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের কথামত পোশাক ডেলিভারি দিতে পারবো না। যে অর্ডার নেয়া আছে সেগুলো সম্পন্ন করতেই ঈদের আগের দিন পর্যন্ত লেগে যাবে। কারিগররা আর কত পোষাক তৈরি করবে।
ত্রিশাল বাজারের হুমায়ুন সিটি কমপ্লেক্স এলকার মাসুদ টেইলার্সের সত্বাধীকারী মাসুদ রানা জানান, মহিলাদের পোশাক তৈরি বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। বছরের অন্য সময়ে দর্জিদের তেমন অর্ডার হয় না। ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়, বাড়তি আয়ও করা যাচ্ছে।