জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আঃ কাদের শেখের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার কাউন্সিলররা।
রবিবার ১১জন কাউন্সিলরেরর আয়োজনে থানা মোড় বটতলা চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহন মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেয়র আব্দুল কাদের শেখ নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্বেচ্ছাচারিতা,স্বজন প্রীতি, ক্ষমতা অপব্যবহার করে ভাতিজা মিন্টু ও ভাগিনা লেবুসহ ৩২জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ইসলামপুর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বি.জে.সি) গোডাউন, কাচ্চা প্রেসসহ মালামাল লুটপাট, জমি দখল করে অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছেন। মাস্টার রোলে নিয়োগকৃত কর্মচারী রাসেল কে পৌরসভার ঠিকাদারী লাইসেন্স দিয়ে মেয়র নিজেই পৌরসভার ঠিকাদারী করেন। সাত দিন পূর্বে নোটিশে প্রতি মাসের পৌর পরিষদের সভা হওয়ার কথা থাকলেও তিনি কোন নোটিশ প্রদান না করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইন্সপেক্টর কে দিয়ে ফোনে ডেকে নিয়ে নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি ইচ্ছামতো নিয়ম বর্হিভূত অনেক বিষয়ে রেজুলেশন লিখেন। রেজাউলেশনের কপি কাউন্সিলরবৃন্দরা চাইলেও কোন কপি তিনি দেন না। এছাড়াও উন্নয়ন মূলক কাজে ঠিকাদারদের কাছে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করার অভিযোগ রয়েছে।
প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবু বলেন, যদি দূর্নীতিবাজ মেয়র আঃ কাদের সেখের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ৯জন কাউন্সিল ও ২জন মহিলা কাউন্সিলর একসাথে পদত্যাগ করবো।
তিনি আরো জানান,ইতিপূর্বে আমরা ১১জন কাউন্সিল কাউন্সিলর অভিযোগ সমূহ সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব স্থানীয় সরকার ও পল্লী সমবায় মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর জুলহাস মন্ডল, শফিকুল ইসলাম,খাজা আব্দুল্লাহ,মনজুরুল হক,ছামিউল হক,ফজলুল হক,পলাশ মিয়া,মাজেদা খাতুন,রত্না বেগমসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীমহল ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।