জামালপুরের ইসলাম পুর উপজেলা পৌরসভা সহ ১২ টি ইউনিয়ন লাম্পি স্কিন রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে আতংকে আছে খামারি ও কৃষক।
জানা গেছে, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন পৌরসভা সহ সবকটি ইউনিয়নে শত শত গরু আক্রান্ত হওয়ায় খামারি ও কৃষকের মাঝে আতংক সৃষ্টি করেছে। গত ২৮ মে পৌরসভার বোয়ালমারী গ্রামে আনারুলের ৫০ হাজার টাকা মূল্যে একটি ষাড় গরু মারা যায়।
আনারুল বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ পল্রী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করেছি ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করেছি কোন উন্নতি হয়নি অবশেষে আমার ষাঁড় গরু মারা যায়। ওই গ্রামের আতাউর রহমানের একটি বকনা গরু গত এপ্রিল মাসে মারা যায়।
আতাউর জানান, আমার মাত্র একটি গরু সম্বল ছিল সে টিও মারা গেলো এখন আমি নিঃস্ব।
বোয়ালমারী গ্রামের জৈনক মহিলা জানান, আমার একটি বকনা গরু বাছুর ছিল গরুর গায়ে বড় বড় ফুসকা হলে আমার বাছুর টি মারা যায়। পলবান্ধা ইউনিয়ন বাটিকামারী গ্রামে মুক্তার আলীর একটি বকনা বাছুর দীর্ঘ দিন ধরে লাম্পি স্কিন রোগে গরু আক্রান্ত তিনি এই প্রতিবেদককে জানান ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করেছি কোন উন্নতি হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান রোগাক্রান্ত গরু হাটতে পারেনা ডাক্তারের নিকট এসেছি গরু হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তোফায়েল আহমদ জানান, লাম্পি স্কিন রোগ মরন ব্যাধি না। শুধু ইসলামপুরে সারা বাংলাদেশে গত ৩/৪ বছর ধরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগের চিকিৎসা ভ্যাকসিন এখনো আবিস্কার হয়নি। এটা একটা ছোয়াছে রোগ খামারে একটি গরু আক্রান্ত হলে অন্য সুস্থ গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে। ইসলামপুরে ৯ শ ২২ টি খামার আছে। খামারি ও কৃষক প্রতিদিন ১৫/২০ টি লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসা করতে আসে।