ধানীখোলা স্বপ্ন উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতির বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহ হলেই এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ার একটা বড় কারণ বাল্যবিবাহ। এ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মেয়েরা যেন শিক্ষা, চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার না হয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। পরিবারের অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। সামাজিক সংগঠনগুলোকে বাল্যবিবাহ বন্ধে আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুলে প্রেরণ করে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে প্রতিটি এলাকার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আরও সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানীখোলা স্বপ্ন উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতির ১০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমাযূন কবীর আকন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা, ধানীখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুল্লা আসাদ, ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রশিদ খান, বৈলর জাগ্রত সমবায় সমিতির সভাপতি রেজাউল কিবরিয়া সোহাগ, কালির বাজার বন্ধন সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান (নয়ন মেম্বার), সম্পাদক নাজমা আক্তার, চর জাউগড়া সমবায় সমিতির সভাপতি শেলিনা আক্তার, মাসকান্দা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়লা বেগম, চড় বড়ভিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঋষি এলাকার সমবায় সমাজ সেবা সমিতির সুভাশ চন্দ্র দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধানীখোলা স্বপ্ন উন্নয়ন শ্রমজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মিন্টু রহমানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাভলী আক্তার ঢলি।