দীর্ঘদিনের স্থবিরতা আর নাগরিক অসন্তোষের অবসান ঘটিয়ে ভালুকায় নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। যোগদানের পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করেছে উপজেলার প্রশাসনিক পরিবেশ, নাগরিক সেবা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
সাবেক এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার সততা, মানবিকতা এবং কর্মদক্ষতার জন্য ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এসিল্যান্ড থেকে ইউএনও পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি প্রমাণ করছেন, জনগণের কাছে প্রশাসন কিভাবে আরও কাছের হতে পারে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও জনবান্ধব ভালুকা গড়ে তুলতে।
ভূমি সেবা সহজীকরণ, অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান, সরকারি সহায়তার সঠিক বিতরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন — প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি নিজেকে একজন নিবেদিতপ্রাণ প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জনগণের অভিযোগ সরাসরি শোনা ও দ্রুত সমাধানের জন্য ‘উন্মুক্ত দরবার’ প্রথা চালু করেছেন, যা জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি এবং নারী উন্নয়ন প্রকল্পেও তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ভালুকার অনেকেই বলছেন, “আমরা আজ দেখছি সত্যিকারের এক ইউএনও, যিনি কথা কম, কাজ বেশি করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, “হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের যোগদানে ভালুকা আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তিনি শুধু একজন কর্মকর্তা নন, জনগণের আপনজন হয়ে উঠেছেন। ভালুকার ইতিহাসে ইতিমধ্যেই তার নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করার মতো অবস্থান করে নিয়েছেন এই মেধাবী ও সৎ প্রশাসক।