মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন

তানোরের পাঁচন্দর ইউপিতে ঈদের খয়রাতি চাল বিতরণেও কারচুপি

সারোয়ার হোসেন, তানোর (রাজশাহী) থে‌কে
  • আপডেট শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪৭ দেখেছে

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে হত দরিদ্রদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া খয়রাতির চাল বিতরণে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে কারচুপি অনিয়ম এবং কম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালের দিকে খয়রাতির চাল বিতরণে ১০ কেজির পরিবর্তে সাড়ে ৯ কেজি ও ৯ কেজি করে ডিজিটাল মিটারে ডিজিটাল ভাবে কম দেওয়া হয়েছে বলেও একাধিক উপকার ভোগীরা নিশ্চিত করেন। শুধু চাল কম না তালিকা তৈরিতে স্বজন প্রীতির অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান মতিনের বিরুদ্ধে। এতে করে চেয়ারম্যান মতিনের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে চাল কম দেওয়ার কারনে দলেরও বদনাম শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, গুদাম থেকে বস্তাপ্রতি ২/৩ এমনকি ৪ কেজি করে চাল কম হয়েছে। মুলত এজন্যই সামান্য কম করে চাল দেওয়া হয়েছে। নইলে সবাইকে চাল দেওয়া যাবেনা।

জানা গেছে, প্রতি বারের ন্যায় গরীর দুস্থ অসহায় অসচ্ছল ব্যাক্তিরা যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য বর্তমান সরকার ১০ কেজি করে চাল দিয়ে থাকেন। সমাজের যারা একেবারেই অসচ্ছল মুলত তাদের জন্য খয়রাতির চাল। কিন্তু এচালের তালিকা তৈরিতে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন ব্যাপক স্বজন প্রীতি করেছেন। যাকে বলে চাল নিয়ে চেয়ারম্যান মতিনের চালবাজি।

দলের এক যুব নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান তো মনে করে আছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর চেয়ার ছাড়া লাগবে না। এসব চাল বিতরণের জন্য তালিকা তৈরিতে আমি তো দুর থাক অনেকেই বলতেই পারবেন না। আমাদের কাছে দলের দরিদ্র অসহায় ব্যাক্তিরা আসছে, কিন্তু কিছুই বলতে পারছিনা। এই খয়রাতির চাল সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অসহায় ব্যাক্তিদের দেওয়ার নিয়ম।কিন্তু অনুসারী ও আত্মীয় স্বজনরা পায় চাল। তার জন্য দলে প্রচুর ভাঙ্গন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন যতদিন এই সরকার আছে ততদিন এভাবে চলবে কিছু করার নাই।

সুত্রে জানা গেছে, পাঁচন্দর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০০ জন ব্যাক্তিকে ১০ কেজি করে খয়রাতির চাল দিতে হবে। সেই হিসেবে ১৪ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ পেয়েছে পাঁচন্দর ইউনিয়ন। কিন্তু জনপ্রতি সাড়ে ৯ কেজি, ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম আবার কোনটাতে ৯ কেজি করেও চাল দেওয়া হয়েছে।

ইউপির একাধিক সদস্যরা জানান, গুদাম থেকে বস্তাপ্রতি ২/৩ কেজি করে চাল কম। এমনকি চাল বিতরণের সময় কোন ট্যাগ অফিসার ছিল না।

তানোর সদরের গুদাম কর্মকর্তা ওসিএলএসডি ওহেদুজ্জামান বলেন, কোনভাবেই চাল কম দেওয়া হয় নি। ওজন করে চাল দেওয়া হয়েছে। চাল নেওয়ার সময় সঠিক বলে নিয়ে গিয়ে এখন কম বললে হবে না। আর কেনই চাল কম দিব। এসবের কোন ভিত্তি নেই।

এসব বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জানান,চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই, যদি চাল কম দেয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

© এই ওয়েবসাইটের  লেখা, ছবি ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি © Developing By :  ESAITBD Software Lab
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD