মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভালুকায় নাগরিক অসন্তোষের অবসান ঘটিয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন ইউএনও ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন

তানোরে উৎকোচ না পাওয়ায় পুড়িয়ে দেওয়া হল কীটনাশক

সারোয়ার হোসেন, তানোর (রাজশাহী) থে‌কে
  • আপডেট শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪৭ দেখেছে

রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ দিন কীটনাশক জব্দ করে রেখে উৎকোচ না পেয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।গত বুধবার সকালের দিকে উপজেলার মাদারীপুর বাজারে ঘটে কীটনাশক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি । এঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি ।সেই সাথে কৃষি অফিসার ও উদ্ভিদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, মাদারল্যান্ড নামের একটি কোম্পানির কীটনাশক প্রায় এক মাস আগে জব্দ করে রাখা হয় মাদারীপুর বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী ময়েজের দোকান ঘরে। জব্দ করার পর থেকে উদ্ভিদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল কোম্পানির বিক্রয় কর্মী হাবিবুর কে অফিসে দেখা করতে বলেন। একাধিকবার দেখা করার কথা বললেও হাবিবুর করেন নি। এঅবস্হায় গত বুধবার মাদারিপুর বাজারে হাবিবুর পুনরায় কীটনাশক দিতে এলে তার নিকট থেকে জব্দ করে সেগুলো এবং ময়েজের দোকান থেকে আনা প্রায় ৭/৮ কার্টুন বিষ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার ধারে কীটনাশক পুড়ানোর সময় লোকজন জমা হয়। বিষের দুর্গন্ধে মাথা যন্তনাসহ অনেকেই বমন করেন।এমনকি সকালে আগুন দেওয়া হয়।আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখান থেকে ধোয়া বের হয়।
মাদারিপুর বাজারের সিজান ট্রেডার্সের মালিক নাকোল গ্রামের ময়েজ উদ্দিন জানান প্রায় একমাস আগে মাদারল্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক জব্দ করে আমার দোকানে রাখে উদ্ভিদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল। কোম্পানির বিক্রয় কর্মী হাবিবুর কে অফিসে ডাকলে যায় না। গত বুধবার কীটনাশক নিয়ে এলে ধরে সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি নিয়ামতপুর বাজারেও বালাইনাশকের ব্যবসা করি এবং মাদারিপুর বাজারে দোকান দিয়েছি।এখনো লাইসেন্স পায়নি। এর বেশি আর কিছুই বলতে চাননি তিনি।
আরেক বালাইনাশক ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান, আমার দোকানে ওই কোম্পানির কোন কীটনাশক ছিল না।সব ময়েজের দোকান থেকে এনে পুড়িয়েছে। কৃষি অফিসার সহ কর্মকর্তারা এসেছিল আমি পুড়ানোর কাজে সহযোগিতা করেছি মাত্র।

বিক্রয় কর্মী হাবিবুর রহমান জানান, আমাকে কৃষি অফিসের উদ্ভিদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বিষ আটকিয়ে অফিসে ডাকে।আমি না যাওয়ার কারনে পুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ কীটনাশকের মেয়াদ ছিল শুধু আর্থিক সুবিধা না দেওয়ার কারনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তার । কিন্তু এভাবে পুড়িয়ে দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। কোন ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কৃষি অফিসের উদ্ভিদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে পারবেন না বলে সাব জানিয়ে দেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহর ০১৭১৭-৪৫০৬৮৩ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

© এই ওয়েবসাইটের  লেখা, ছবি ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি © Developing By :  ESAITBD Software Lab
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD