তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর বাজারের সিজান ট্রেডার্স বালাই নাশক দোকান থেকে দুই দফায় ৬কার্টুন নকল বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং অবৈধ সুবিধার মাধ্যমে গোপনে বিষ কোম্পানির লোক ও বালাই নাশক দোকানদার ময়েজউদ্দিন কে বাঁচাতে বিষ গুলো কৃষি অফিসে না নিয়ে গিয়ে জনবহুল রাস্তার ধারে গর্ত করে পুড়িয়ে দেয়া ঘটনা ঘটেছে। এমনকি পুড়ানো বিষ গুলো গর্তে মাটি দিয়ে পুঁতে না ফেলাই বেশকিছু নারী পুরুষ ও শিশু পুড়ানো বিষ গুলো দেখতে গিয়ে মাথা যন্ত্রণায় পড়ে এবং একটি শিশু বমি করতে শুরু করেন। ফলে পুড়ানো বিষের গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট না করায় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের দোকান ঘরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয় পথচারী ও বাজারের ব্যবসায়ীদের কে।
অন্যদিকে বিষ গুলো আসল না নকল তা নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও ভূয়া বালাই নাশক ডিলারের মধ্যে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। ডিলার বলছেন বিষ গুলো ভালো এবং মেয়াদও ছিলো। কর্মকর্তা বলছেন নকল বিষ। জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন- বিষ গুলো নকল হোক আর আসল হোক চোর ছেড়ে দিয়ে বিষ গুলো পরীক্ষা না করে কেন পুড়ানো হলো? কার স্বর্থে বিষ বিক্রেতাকে ছেড়ে দেয়া হলো বলে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর বাজারের সিজান ট্রেডার্স নামের একটি বালাই নাশক দোকানে থেকে মাস দুয়েক আগে প্রায় ৬কার্টুন বিষ নকল বলে বিষ গুলো আটক করে সেই সিজান ট্রেডার্স বালাই নাশক ডিলারের কাছে জব্দ করে জিম্মি রাখা ছিলো। আজ বুধবার দুপুরে আবারো সিজান ট্রেডার্স বালাই নাশক দোকানে ঐ কোম্পানির বিষ নকল বলে বিষ জব্দ করা হয়। তবে জব্দ করা বিষ নকল না আসল তা যাচাই বাছাই ও বিষ বিক্রেতার কোন ব্যবস্থা না করেই কোম্পানির লোককে ছেড়ে দিয়ে বিষ গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। যার ফলে কৃষি অফিসের এমন জঘন্য কান্ডে এলাকা জুড়ে কৃষকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলস কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লাহ জানান,বিষ গুলো নকল ছিলো তাই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তাহলে নকল বিষ বিক্রেতাকে ছেড়ে দেয়া হলো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তেমন অপরাধ না তাই এবারের মত সাবধান করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।