রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নীলফামারীর সৈয়দপুরের ছেলে সোহাগ খন্দকার (পাখি) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোরের দিকে শহরের কয়ানিজ পাড়ার নিজ শোয়ার ঘরে সেলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মূর্তজার ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, সোহাগ খন্দকার রাবি’র চারুকলা অনুষদের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের (১৫তম ব্যাচ) প্রাচ্যকলা ডিসিপ্লিনের সাবেক শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার পূর্বে তিনি ফেসবুকে চারটি স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসগুলো হলো- ‘ভালো থাকুক সেসব মানুষ, যারা শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার কাছে অন্যের গুরুত্ব নাই বললেই চলে,’ ‘যদি কেউ আমার উপর কষ্ট নিয়ে থাকেন, আল্লাহর দোহাই মাফ করে দিবেন,’ ‘জীবনের কাছে হার মেনে গেলাম। আমি আর পারলাম না,’ এবং ‘একটা মানুষ জীবনের কাছে যখন হেরে যায়, তখন আর করার কিছু থাকে না।

এ স্ট্যাটাস দেখে সকালে স্থানীয়রা তার বাসায় এসে তাকে ডাকাডাকির পর কোনো সাড়াশব্দ না পেলে দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগ খন্দকার পাখির বাবা মূর্তজা ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহের কারনে সে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। এছাড়া আমি অসুস্থ্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। সে আমার সেবা যত্ন করত। আমার অজান্তেই সে আত্মহত্যা করেছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ পরিবার কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।