রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ত্রিশালে নজরুল জন্মজয়ন্তীর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে ত্রিশালে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা ভালুকায় হাসিব আল হানিফের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ক‌বি নজরুল বিদ্যানি‌কেত‌নের ২৫ শিক্ষার্থীর মেধা বৃ‌ত্তি প্রা‌প্তি ত্রিশালে শিশু মৃত্যুর বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ত্রিশালে নজরুল জন্মজয়ন্তী জাতীয় পর্যায়ে উদযাপনের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ চুইঝাল নিয়ে তরুণ দেলোয়ারের স্বপ্নযাত্রা ত্রিশাল পৌর জামায়াতের কর্মী সমাবেশ ভালুকায় নাগরিক অসন্তোষের অবসান ঘটিয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন ইউএনও ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম বন্দরের দেড়শো লোক করোনায় আক্রান্ত

Reporter Name
  • আপডেট সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ৪৫৫ দেখেছে

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় দেড়শো কর্মকর্তা কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত আর উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনবল কমিয়ে শিফটিং করে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আক্রান্ত ঠেকানো না গেলে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

করোনা সংক্রমণের শুরুতে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি বা অঘোষিত লকডাউন শুরু হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে চালু রাখা হয় চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউজ। দু’মাসের মধ্যেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানদুটিকে। বন্দরের ৭৭ জন আর কাস্টমসের ৭২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর করোনা শনাক্ত হয়। উপসর্গ রয়েছে আরো কয়েকজনের। এই বাস্তবতায় যে ক’জন এখনো সুস্থ আছেন তাদেরকেও চার শিফটে ভাগ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে কার্যক্রম সচল রাখতে নতুন জনবল সংযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজস্ব আদায়ে ভাটা পরার আশংকাও করছে তারা। ফুটেজ-কাস্টমস এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই দুটি দফতরে কাজ করতে আসা আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া এসব দফতরে আগতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পর্যাপ্ত পদক্ষেপও নেই এখানে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান দু’টি সচল রাখার দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের। না হলে রাজস্ব আদায়সহ বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা তাদের। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট হওয়ায় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমান মানুষের আনাগোনা হয় এই দুই প্রতিষ্ঠানে। তাই করোনার বিস্তার ঠেকাতে শুরু থেকে যে পরিমান প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিলো সেখানে গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

© এই ওয়েবসাইটের  লেখা, ছবি ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি © Developing By :  ESAITBD Software Lab
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD