বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এই নির্বাহী পরিচালক পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। দীর্ঘ পঁচিশ বছর শিক্ষকতার পর ২০১২ সালে আগাম অবসর নিয়ে তিনি সিপিডিতে যোগ দেন। গবেষণায় উৎকর্ষের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ইব্রাহিম মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল অর্জন করেন তিনি। অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এখন ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। করোনাকালে আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে দেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেশ প্রতিদিন সম্পাদকীয় সালেহ আহমেদ সুজন
দেশ প্রতিদিন : করোনাভাইরাস মহামারীর দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের বাজেটে কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত?
মোস্তাফিজুর রহমান : অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের দিক চিন্তা করলে কয়েকটি খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রথমত স্বাস্থ্য। করোনা ভাইরাস মহামারীতে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সব ধরনের দুর্বলতা প্রকাশিত হয়েছে। এ খাতে যে আমাদের জাতীয় বরাদ্দ কম, সেটিই কেবল নয়, আমরা বছরের পর বছর ভালোভাবে ব্যয়ও করতে পারিনি। গত ১০ বছরে বরাদ্দের গড় ব্যয় এমনকি রিভাইজ বাজেটেরও ৮৫ শতাংশের মতো হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অবকাঠামোর দুর্বলতাগুলো বেরিয়ে এসেছে। যে পরিমাণ মানব সম্পদের প্রয়োজন; সে ক্ষেত্রে দুর্বলতা প্রবল। এগুলো বিবেচনা করে আগামী বছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না; এ দিকগুলোতেও খুব ভালোভাবে কাজ করতে হবে। ‘কভিড-১৯’ রোগকে সামনে রেখে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করে, সেগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। এই রোগের জন্য যেসব করণীয় ও প্রয়োজন; তা সম্পন্ন করতে হবে। মধ্য মেয়াদেও পরিকল্পনায় এই খাতের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা, সরকারি ও বেসরকারি পার্টনারশিপের দুর্বলতা; নৈরাজ্য; দালালবৃত্তি; অর্থ বেশি রাখা এসব সমস্যাকে আমাদের সরকারকে কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিতে হবে। সারা দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিককে সচল করতে হবে, সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনিশিয়ান ইত্যাদি সব জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
আগামী বছরের বাজেট যেহেতু অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম বছরের বাজেট, সেই হিসেবে আমরা একটি সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে যাওয়ার কথা অবশ্যই চিন্তা করতে পারি। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে বাজেটের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্ম হাতে নেওয়া যেতে পারে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখ শাসক দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে আছে। সরকারের অনেক নীতিনির্ধারক এই প্রয়োজনীয়তার কথা অনেক সময় বলেছেন। বাজেটে আমরা প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে তা প্রয়োগ করতে পারি। সে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন শুরু করতে পারি। আমাদের এসডিজির (সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোল) স্বাস্থ্য খাতের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে যেসব অঙ্গীকার আছে, সেগুলো পূরণের দিকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাদানকে আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
যেহেতু ‘কভিড-১৯’ রোগের কারণে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের আয় কমে গিয়েছে। এমনকি অনেক উদ্যোক্তা দেউলিয়া হয়েছেন; ফলে এ খাতে বিরাট সংকট ও অনেক সমস্যার জন্ম হয়েছে। প্রথমত, তাদের কর্মসংস্থানের প্রদক্ষেপগুলো নিতে হবে। সেজন্য প্রধানত কৃষি খাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতির যে বৃহত্তর খাত কৃষি; কেবল ফসল উৎপাদনকারী খাত নয়; এই অর্থনীতির অফসলি খাতগুলোওযেখানে শ্রমঘন বিভিন্ন কর্মকা- হয়, পশুসম্পদ, মৎস চাষ, হাঁস-মুরগির খামার, গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কর্মকান্ড আছে; সেগুলোর প্রতি তাকিয়ে আমাদের বরাদ্দ বাড়িয়ে; প্রদত্ত প্রণোদনাগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন কার্যকরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের দিক থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আছে, যেগুলোতে আমাদের শতকরা ৮৫ ভাগ মানে মোট ৬ কোটি ১০ লাখ মানুষের শ্রমবাজারের প্রায় পুরো অংশই কাজ করেন; খাতটি খুবই আঘাত পেয়েছে করোনাভাইরাসে; তাদের আবার আগের অবস্থায় ও তার চেয়ে ভালোভাবে ফিরিয়ে আনতে প্রণোদিত করে কাজ করতে হবে সরকারকে। তাদের প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়ন করলে সুবিধা হতে পারে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে খাতগুলো আবার ঠিকভাবে দাঁড় করাতে পারলে আমাদের কর্মসংস্থানেও খুব সুবিধা হবে। সেজন্য যেসব ঋণ কার্যক্রম প্রদান করা হয়েছে, সেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ রাখা ও দ্রুত কার্যকর করার দিকে নজর দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে।
গ্রামীণ কৃষিবহির্ভূত খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দিতেই হবেআবারও বলছি। এবারের বাজেটে দেখতে হবে যেসব প্রকল্প আছে; সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোকে কিছুটা বাস্তবায়নের দিক থেকে বিলম্ব করতে পারি; যেমন জ্বালানি খাতের বেশকিছু বড় প্রকল্প এ হিসাবের আওতায় আনলে সরকারের অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। সে টাকা দিয়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণের ঘাটতি পোষাতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সরকার করতে পারেন। এবারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প বাছাইয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। যেগুলোতে কেবল নামমাত্র বরাদ্দ থাকে, বাদ দিতে হবে। যেগুলো আগামী বছরই শেষ হবে, অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিতে হবে। যেগুলো চলমান কিন্তু দীর্ঘায়িত করলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না; সেগুলোতে বেশি বরাদ্দ না রাখা উচিত। যেসব প্রকল্প ব্যক্তিগত খাতের বিনিয়োগকে বেশি আকর্ষণ করবে, বাজেটে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সামাজিক সুরক্ষার যেসব কার্যক্রম আমাদের আছে, ক্ষেত্রগুলোর বাজেট সরকার এরই মধ্যে বাড়িয়েছে; বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে হবে ও বাড়াতে হবে। ক্যাশ ট্রান্সফারের স্কিমগুলোকে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা খাতগুলোকে বিস্তৃতভাবে কার্যকর করে সবার সামাজিক নিরাপত্তার দিকে যাওয়ার সরকারি পরিকল্পনা আছে। তাদের এখন যে সামাজিক নিরাপত্তা স্ট্র্যাটেজিটি শেষ হচ্ছে; সে অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আগামীতে নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। এক বছরে তা সম্ভব হবে না। তবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে আমরা আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন যাতে করতে পারি, সেদিকে গুরুত্ব দিতেই হবে। ফলে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা সবই করতে হবে।
দেশ প্রতিদিন : উন্নত বিশ্বে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দীর্ঘমেয়াদের মূল্য হ্রাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কী করণীয়?
মোস্তাফিজুর রহমান : আশঙ্কাগুলো আমরা করছি এবং বিভিন্ন প্রাক্কলনেও দেখা যাচ্ছে। আমরা একটি বৈশ্বিক মন্দার দিকে যাচ্ছি। ফলে বাংলাদেশ চাহিদা ও জোগানের দিক থেকে চাপের মধ্যে থাকবে। উন্নত বিশ্বে মন্দা হলে আমাদের রপ্তানির চাহিদা কমে যেতে পারে। তেলের দাম কমায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এরই মধ্যে বেশ বড় ধাক্কায় পড়েছে। আগামী বছরও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও কৃচ্ছ্র সাধন করছে। তাদের দেশে বেতন আটকে দিচ্ছে। জীবনযাপনের বাড়তি ব্যয় বন্ধ করেছে। কর আদায় সৌদি আরব ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। ফলে তারা আমাদের নতুন মানুষ নেওয়াই কমাবে তা নয়; যারা আছেন, তাদের অনেক উদ্যোক্তাই দেশে পাঠিয়ে দিতে পারেন। ফলে রপ্তানি চাহিদার দিক থেকে চাপ ও প্রবাসীদের আয় এবং কর্মসংস্থান দুটি চাপকেই পাশাপাশি আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। যেহেতু এশিয়ার অর্থনীতি করোনাভাইরাসের আক্রমণে তুলনামূলকভাবে কম আক্রান্ত হয়েছে; তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াদেশগুলোর সঙ্গে কীভাবে বাণিজ্য আরও গভীরতর করতে পারি। সেজন্য আলাপ-আলোচনায় নজর দিতে হবে। কারণ এই দেশগুলো দ্রুত মন্দাবস্থা কাটিয়ে উঠবে। ফলে তাদের কেনার চাহিদাগুলো থাকবে। পাশাপাশি বাজার বৈচিত্র্যকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে সংকটের পর। প্রতিযোগিতায় নিজেদের ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের দুর্বলতাগুলোকারিগরি, বন্দর, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের সব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার দিকে আগামী অর্থবছরে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। যাতে আমাদের প্রতিযোগী দেশনির্দিষ্টভাবে ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়া, ভারত, তুরস্কের সঙ্গে বর্তমান বাজারে আমরা যেন বড় ধরনের নেতিবাচক অবস্থায় না পড়ি ও সক্ষমতা যাতে বজায় রাখতে পারি। সেজন্য মূল রপ্তানি খাতগুলো রেডিমেড গার্মেন্ট, চমড়াজাত পণ্য, ওষুধ; ওষুধে নতুন বাজার চাহিদা বিশ্বজুড়ে তৈরি হবে; আমাদের অন্য খাতগুলোও কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য; ফ্রোজেন ফুড, সিরামিক ইত্যাদির দিকে নজর দিতে হবে। এখন যেগুলো নতুন খাত হিসেবে উঠে আসছেআইটি, আউটসোর্সিং ইত্যাদিগুলোতে সরকার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা রপ্তানির; সেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। রপ্তানি খাতের সবাই যেন সরকারের সুবিধাগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন। আরও রপ্তানি ও বাজার বৈচিত্র্যকরণের দিকে যেতে হবে। প্রবাসী আয়ে আমাদের প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে দুই পক্ষের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে বিশ্ব শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা করে। সেগুলোর ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এরই মধ্যে আলাপ করছে। এখানে সেখানে যেসব বৈশ্বিক প্লাটফর্ম আছে; যেমন ‘কলম্বো প্রসেস’ যেখানে প্রেরক ও স্থানীয় দেশ একত্রে আলোচনা করে; ব্যবহার করতে হবে।
দেশ প্রতিদিন : সামনের দিনগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তার বিবেচনা এবং কৃষির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাজেটে কৃষি বরাদ্দ কতটুকু বাড়ানো প্রয়োজন?
মোস্তাফিজুর রহমান : খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি আগামী বাজেটে অন্যতম মূল হতে হবে। এজন্য বরাদ্দ রাখতে হবে ভালো। বোরো ধান চাষ ও বাজারে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ লাখ টন। আউশ ও আমন সংগ্রহে আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছি। বোরো চালের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করতে হবে এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। আমাদের প্রায় দুই লাখ টন খাদ্য মজুদ কমেছে। খাদ্য বিতরণ বাড়াতে হয়েছে। বোরোতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে আবার ধানের ভালো মজুদ গড়ে তুলতে পারব, মানুষের খাদ্য ঝুঁকি কমবে। কৃষকদের সার, চাষে বরাদ্দ অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববাজার থেকে ধান আমদানিও করতে হতে পারে। সেজন্য টাকা রাখতে হবে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের মতো এবার আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব বাজারে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়নি; সে সুযোগ নিতে হতে পারে। এবার ধান ভালো হয়েছে। তবে আম্পানে বেশকিছু এলাকায় চাষাবাদ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি বিবেচনায় রেখে কৃষি খাতে বরাদ্দ রাখা; কর্মসংস্থান তৈরি করা ও কৃষি খাতের উন্নয়ন জোরদার করতে হবে। সব মানুষের সুষম খাবার, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে কৃষিসহ অন্যান্য খাদ্য ব্যবস্থা যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।