ময়মনসিংহের ত্রিশালে কোভিড-১৯ এর গণটিকাদান কর্মসূচীর শুরু করা হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) সারাদেশের ন্যায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সিনোফার্ম টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে ৩টি বুথের মাধ্যমে প্রায় ৬`শত জনকে টিকা দেয়া হয়। পৌরসভায় ২টি কেন্দ্রে ৪টি বুথে মোট ৮`শত জনকে টিকা দেয়া হয়। টিকাদান কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। জাতীয় কমিটি অনুমোদন না দেয়ায় আপাতত টিকাদানের বয়সসীমা হবে ২৫ বা তার উর্ধ্বে। টিকাদানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (২কপি ফটোকপি) সাথে আনতে হবে হবে।
উপজেলার যে এলাকায় টিকাদান করা হবে সেই এলাকার বাসিন্দা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারবে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায় ও কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বৃদ্ধ, নারী এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই ক্যাম্পে কোন সিনোফার্ম বা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারীরা এই কেন্দ্রগুলোতে আপাতত টিকা পাবে না।
উপজেলায় যে সকল স্থানে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করা যাবে তা হলো- ধানিখোলা ইউনিয়নের ধানিখোলা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈলর ইউনিয়নের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাঠাঁল ইউনিয়নের কাঠাঁল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানিহারী ইউনিয়নের আহমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপুর ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ত্রিশাল ইউনিয়নের চক পাঁচপাড়া কারিগরি কলেজ, হরিরামপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাখুয়া ইউনিয়নের সাখুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঠবাড়ি ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, মোক্ষপুর ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌরসভায় ২টি কেন্দ্র করা হয়েছে যা ত্রিশাল পৌরসভা ও রাহেলা হযরত উচ্চ বিদ্যালয়।