চুয়াডাঙ্গার জীবননগর শাখার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, এর আরও ৬ জন স্টাফের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে ব্যাংকটির মোট ১২ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হলেন। যার মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ ও করেছেন। তিনি ব্যাংকটিতে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (২৪ জুন) রাতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে উপজেলাটিতে ৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬ জনই ইসলামী ব্যাংকের স্টাফ। বাকি ১ জনের বাড়ি জীবননগরের মনোহরপুর গ্রামে। তিনি একজন মহিলা।
উপজেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জনই গত দুদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। যা উপজেলাবাসীকে চিন্তায় ফেলেছে।
তবে জনসংখ্যার অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যে জীবননগর পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে করে আরও কঠোর অবস্থানে না যেতে পারলে এই উপজেলার চিত্র ও চুয়াডাঙ্গার অন্যান্য উপজেলার মতো হবে। এখনো পর্যন্ত জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম রোগী সনাক্ত হয়েছে এই উপজেলায়। তবে প্রতিদিন এভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
কারণ এখনো এই উপজেলার বেশীরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক ব্যবহার করছেন প্রশাসনের ভয়ে। এছাড়া দোকানপাট খোলা রাখতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। প্রতিটা গ্রামেই রাত ১০ টার পরেও দোকানপাট খোলা রেখে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন দোকানীরা। অথচ বিকাল ৪ টার পরে দোকানপাট বন্ধ করার নিয়ম করে দিয়েছে প্রশাসন।
এজন্য উপজেলার সচেতনমহল মনে করেন প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে যাওয়ায় উত্তম হবে। আর প্রতিরোধ করতে হলে এখনি আরও কঠোর ভূমিকায় যেতে হবে পুলিশ ও প্রশাসনকে।