নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে বিবস্ত্র করে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনটি তুলে ধরে আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
আদালত বলেন, ফেসবুকে আসার কারণে আমরা এই ঘটনা জানতে পেরেছি। এতদিন পুলিশ কি করলো? ফেসবুকে আসার পর এখন পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েছে। ফেসবুকে না এলে এ ঘটনা অজানাই থেকে যেতো। এসময় আদালতে আবেদনের পক্ষে আরও শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সোমবার দুপুরে আবারো শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। নির্যাতনের ঘটনার ৩৩ দিন পর নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।