গবাদিপশুর রোগ-শোকে নিরলস ছুটে চলেন মহিলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানজিলা ফেরদৌসী। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিতই ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিন কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বুধবার সকালে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দরিরামপুর খাবলাপাড়া এলাকার তিন শতাধিক গবাদিপশুকে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও চিকিৎসা দেন তিনি। এসময় বেশ কয়েকটি লাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরুর চিকিৎসাও দেওয়া হয়। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির আকন্দ।
স্থানীয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৩০টি ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভেকসিন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এতে করে খামারিরা সহজেই তাদের পশুপাখির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারছে।
ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিন কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবায় আগত খামারী রুস্তম আলী বলেন, “আমি তিনটি গরু লালন পালন করি। গত কয়েকদিন ধরে একটির গাঁয়ে গোটা গোটা কি যেন সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাডাম দেখে বলল, ‘আমার গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।’ ওষুধ লিখে দিয়েছেন। বাকি দু’টিকে লাম্পি স্কিন প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিয়েছেন।”
পারভীন আক্তার নামে আরেকজন বলেন, ‘আগে আমাদের গরুছাগল গুলোকে চিকিৎসা দিতে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে যেতে হতো। এখন নিজ এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পেরে আমরা খুবই খুশি।’
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির আকন্দ বলেন, ‘আজ আমার এলাকার তিন শতাধিক গবাদিপশুকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভেকসিন ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। হাতের নাগালে এ সেবা পেয়ে এলাকার লোকজন ভীষণ খুশি। আমাদের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যাপক উদ্যমী ও পরিশ্রমী। উনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সেবার মান দিনকেদিন বেড়েই চলেছে।’
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, আমার উপজেলায় লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই দু-একটি আক্রান্ত পশু নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকেরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসছেন। আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আজও এখানে লাম্পি স্কিন আক্রান্ত কয়েকটি গরুকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। এছাড়া আজ দু’শটি ছাগলের পিপিআর টিকা এবং অনেক গুলো অসুস্থ গরু-ছাগলকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।