করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এ অবস্থায় রাজধানীতে টিকে থাকার জন্য অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার কম টাকার বাসায় যাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, এরই মধ্যে প্রায় এক লাখ ভাড়াটিয়া রাজধানী ছেড়েছে। এ কারণে রাজধানীর অলিগলিতে এখন ঝুলছে অসংখ্য ‘টু লেট’। অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া পাচ্ছে না।
সংকটময় এ অবস্থার চিত্র পাওয়া গেল ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহারের কথায়। তিনি বলেন, করোনার সময়ে শুধু রাজধানী থেকে এক লাখের বেশি পরিবার চলে গেছে। যারা আছে তারাও কম টাকায় থাকার জন্য বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে। চলতি মাসের পর ঢাকার চিত্র আরো বদলাবে।
তিনি দাবি জানান, এমন পরিস্থিতিতে যদি অন্তত তিন মাসের বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল মওকুফ না করা হয়, তবে সংকট বাড়বে। যেসব ভাড়াটিয়া টিকে আছে তাদের ভাড়াও সহনীয় করার বিষয়ে ভাবা উচিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর বাড়িভাড়া বেপরোয়াভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে মানুষের আয়-ব্যয়ের প্রকট অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। করোনার সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় নিরুপায় হয়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, তাতে তৈরি হচ্ছে ভাড়াটিয়া সংকট। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার টিকে থাকতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট সামনের দিনগুলোতে আরো প্রকট হতে পারে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এই সময়ে নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ।