নেত্রকোনায় দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ভোরের কাগজের সাংবাদিক লিটন ধর গুপ্ত আর নেই। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরপরই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। মৃত্যুর ঠিক দুই ঘণ্টা পূর্বে শরীর ভালো লাগছে না, বুকে ব্যথা হচ্ছে, ময়মনসিংহে যাচ্ছি বলে লিটন ধর গুপ্ত একটি স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে। কিন্তু এটিই যে তার শেষ স্ট্যাটাস হবে তা হয়তো নিজেও জানতেন না।
আজ রবিবার সকাল ১০টায় নেত্রকোনা মহাশ্মশান ঘাটে লিটন ধর গুপ্তের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন লিটন ধর গুপ্ত। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল তার। এর মাঝে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।গত কয়েকদিন ধরে ব্যথা বেশি অনুভূত হলে শনিবার দুপুরে দুইটার দিকে কয়েকজন বন্ধু মিলে লিটন ধর গুপ্তকে নেত্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ নেয়ার কথা বলে দেন। কিন্তু লিটনের সহধর্মিণী সীমা রায় মোহনগঞ্জে চাকরিরত থাকায় আসতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এম্বুলেন্স যোগে ময়মনসিংহ রওয়ানা দেন। ময়মনসিংহ পৌঁছার পরপরই লিটন ধর গুপ্ত মারা যান। তার অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল স্তরের মানুষের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
লিটন ধর গুপ্ত টেলিভিশন পত্রিকা ছাড়াও বাংলাদেশ বেতারের নেত্রকোনা সংবাদদাতা ছিলেন। নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা লিটন সাংবাদিকতা ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির যন্ত্রী প্রশিক্ষক ছিলেন। লিটন ধর গুপ্ত নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।