স্থানীয় ঋণপত্রের (লোকাল এলসি) বিল নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন রপ্তানি শিল্প স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে। এর বিলও বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হয়। এসব এলসির বিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (এফআরটিএমডি) আমদানিকারকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ে রপ্তানিকারকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা করে। আর এ বিলগুলোর হার্ডকপি (কাগুজে বিল) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে একটি বিল আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হচ্ছে।
এসব বিবেচনায় স্থানীয় এলসি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় এ সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে চার্জ যাতে সীমিত থাকে, সে ব্যবস্থা করার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ওই নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।