ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে বাম পাশ দিয়ে একটি রেলপথ রয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দুরত্বে গিয়ে কেওয়াটখালি লোকো শেডে চলে গিয়েছে। এই রেলপথ ধরে শুধুমাত্র ট্রেনের ইঞ্জিন এবং উদ্ধারকারী ট্রেন যাওয়া আসা করে। সোমবার এই রেলপথটিতে পাথরের পরিবর্তে ইট ব্যবহার করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এভাবে পাথরের পরিবর্তে ইট ব্যবহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেল কর্তৃপক্ষের উপর সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, পাথরের পরিবর্তে ইট ব্যবহার করায় কর্তৃক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে রেলপথটি পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক। তিনি বলেন, সরেজমিনে এসে স্থানীয়দের সাথে এবং রেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করে শীঘ্রই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনিয়ম আছে কিনা তা যাচাই করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। তবে যেহেতু এটি সরকারি কাজ তাই এখানে একটি সাইনবোর্ড প্রদর্শন করা উচিৎ ছিল কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ সেটি করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) রেজাউল করিম বলেন, ট্র্যাকটি বেশ কয়েকবছর সংষ্কার না করার ফলে নাজুক হয়ে পড়ে। অনেক স্থানে স্লিপার নেই কিংবা কাঠের স্লিপারগুলো ফেটে গেছে। লাইনে পাথর ছিলনা। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অস্থায়ীভাবে সাড়ে তিন ইঞ্চি উচ্চতায় ইট বালু দেয়া হয়েছে। মূলত এটি পাথর বিছানোর পৃর্বে মজবুত ভিত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাথর বরাদ্দ পাওয়া গেলে এই ভিতের উপর বিছানো হবে।