শিরোনাম
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত অধিকার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে মৌন মানববন্ধন

ভুরুঙ্গামারীতে স্বামী সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম থে‌কে 
  • আপডেট শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
  • ১১৭ দেখেছে

কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় এক আচার্য প্রেম জনিত ঘটনা ঘটেছে। প্রেমের শুরু টা মজার হলেও শেষটা বিরহের হয়। রসিক প্রেমিক বিয়ে না করলে প্রেমিকার আত্মহত্যার হুমকি। উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে ৩নং তিলাই

ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ (কাচু) দেওয়ানির ছেলে মোঃ লিটন মিয়া(৩৫) ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হোসেন মোজাম এর মেয়ে মৌসুমি খাতুন এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে প্রায় ১৪ বছর আগে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। এই সংসার জীবনে দুটি বাচ্চাও রয়েছে ছেলের বয়স ৮ ও মেয়ের বয়স ৫ বছর। এমতবস্থায় মৌসুমী খাতুন একই ইউনিয়নের পাসের গ্রাম দক্ষিন ছাট গোপালপুর গ্রামের জহির উদ্দিন ( স্বর্নকার) এর ছোট ছেলে আতিকুল ইসলাম (১৯) সাথে পরিচয় হয়। মৌসুমী খাতুন তার বাচ্চাকে স্কুলে নেওয়া দেওয়ার যাতায়াতের সময় আতিকুলের সাথে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ত তারপর একটা সময় গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এই সম্পর্কের জের ধরে মৌসুমী খাতুন তার স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে গত ১৮ জুন শনিবার রসিক প্রেমিক আতিকুলের হাত ধরে ঢাকা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় তিলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বরাবর অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান বলেন আমি ওই দুইজনকে বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতেছি। পরে চেয়ারম্যান এই দুই প্রেমিক প্রেমিকার পরিবারের ও প্রশাসনের সহযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা থেকে গত ২১ শে জুন মঙ্গলবার চেয়ারম্যান মহোদয়ের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে চেয়ারম্যান তিন পক্ষকে ডেকে মীমাংসা হওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় মৌসুমীর স্বামীর পক্ষ বলেন আমরা এই বউকে গ্রহন করবো না।প্রেমিক আতিকুল বলেন আমি বিয়ে করবো না আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে ঢাকায়। এ অবস্থায় কোনো সমঝোতায় না আসলে মৌসুমী খাতুন এর স্বামীর দেওয়া স্বর্ণ অলংকার ও ৩৫ হাজার টাকা মৌসুমীর কাছ থেকে উদ্ধার করে স্বামী লিটন ও শশুরের কাছে হস্তান্তর করেন ইউ পি চেয়ারম্যান।

পরে ওই রাতে সমঝোতায় না আসলেও রাত গভীর হওয়াতে চেয়ারম্যান প্রেমিক আতিকুলকে আতিকুলের বড় ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করে বলেন এ বিষয়ে নিয়ে আগামীকাল বসবো সে পর্যন্ত আপনার ছোট ভাই আপনার কাছে রেখে দিলাম আপনি আপনার বাসায় নিয়ে যান এবং প্রেমিকা মৌসুমী খাতুন আমার জিম্মায় আমার বাসায় থাকবে। চেয়ারম্যান সাহেবের কথার উপর ভিত্তি করে যার যার মত সবাই সেই রাতে চলে যায়।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও আতিকুলকে তার পরিবার চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে আসতে পারেনি এবং ধোরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় আতিকুলের পরিবার। পরে এই ঘটনায় এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করলে ওই ইউনিয়নে ছেলের বড় ভাই আবু বক্কর একটি পালসার ১৫০ সিসি কালো রঙের গাড়ি ধামের হাট বাজারে মৌসুমীর খাতুনের স্বামী লিটনকে নিয়ে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন সেই গাড়িটিকে আটক করে। আটকের পর আবু বক্করকে বলেন এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গাড়িটি স্থানীয় লোকজনের কাছে থাকবে। গাড়ি আটকানোর উভয় পক্ষে তর্ক বির্তক হলে খবর পেয়ে কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসা বি এস সি শিক্ষক খোরশিদ নুর আলম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। খোরশিদ নুর আলম এলাকাবাসীকে বলেন গাড়িটি ছেরে দেন আমার জিম্মায় আমি আগামীকাল চেয়ারম্যানের সঙ্গে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সুষ্ঠু সমাধান করব। পরে এলাকাবাসী গাড়ি ছেড়ে দিলেও পরের দিন থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ মিলেনি।

গাড়ির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসসি বলেন আমার জিম্মায় নিয়ে আমি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছি ।পরের দিন সমাধানের জন্য আমি ছেলের বড় ভাই আবু বক্কর কে ফোন দিলে আমার ও ফোন রিসিভ করেনি তারা আমাকেও এরিয়ে চলছে।

ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন ঘটনা সব সত্যি মেয়েটি আমার বাড়িতে চার দিন ছিল। আমি সমাধানের জন্য আতিকুল ও তার পরিবারকে ডাকলে তাদেরকে পাইনি। পরে মেয়েটি আমার বাসাতেই ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বলে আতিকুল ছাড়া আমি বাঁচবো না ওই আতিকুলকে আমি বিয়ে করবো। পরে আমি মৌসুমির প্রেমিকা আতিকুলের বাসায় পাঠিয়ে দেই।

মৌসুমী চেয়ারম্যান এর বাড়ি থেকে শনিবার ২৫ জুন দুপুর ১২ টার দিকে আতিকুলের বাড়িতে ঢুকে পরে। মৌসুমী বলেন আমার সংসার নষ্ট করেছে আতিকুল । আমি আতিকুলকে বিয়ে না করতে না পারলে আত্মহত্যা করবো।

আতিকুলের বড় ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলেন আমার কাছে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে টাকা চেয়েছে সমাধানের জন্য আমার কাছে আমি দেই নেই। চেয়ারম্যান এ বিষয়টা সমাধান করে দিতে চেয়েছিল কিন্তু চেয়ারম্যান ৪ দিন উনার বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে আজ২৫ শে জুন শনিবার দুপুরের দিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এখন মেয়েটি আমাদের বাড়িতেই আছে। আরো বলেন আমার ভাইয়ের যদি কোন দোষ থাকে আইন আছে আইন যেটা করবে সেটাই মাথা পেতে নেব।

এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন বিষয়টি জানি যে তারা দুজন ঢাকায় গিয়েছিল পরে চেয়ারম্যান নিয়ে আসছে সমাধান করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মেয়ে ওই ছেলের বাসায় উঠেছে সেটা জানিনা। এখন শুনলাম দেখি বিষয়টা কি করা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!