শিরোনাম
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত অধিকার নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহে মৌন মানববন্ধন

ফজল নেতার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ম‌শিউর রহমান রা‌জিব
  • আপডেট শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৬৭ দেখেছে

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ করে আসা ত্যাগী নেতাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন মরহুম ফজলুল হক ফকির। তাকে সকলে ফজল নেতা বলেই জানতো। স্কুল জীবন থেকেই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এ নেতা। সমাজ সংস্কারে ছিলেন এক প্রতিবাদী নেতা। রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে সততায় সারা জীবন নিজেকে রেখেছেন সাদামাটা। কখনো সামাজিক নেতৃত্ব, কখনো সাংস্কৃতিক অঙ্গণে, রাজনৈতিক দলকে বাঁচায়ে সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন তিনি।

পরিবার ও স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নেতা ত্রিশাল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ত্রিশাল নজরুল একাডেমী (দরিরামপুর হাই স্কুল) থেকে মেট্রিক পাশ করে ভর্তি হয় ত্রিশাল নজরুল কলেজে। ১৯৭৯ সালে ত্রিশাল নজরুল ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সংগ্রামী নেতার ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও ত্রিশালে ঐতিহ্যবাহী শুকতারা সংঘের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯২ সালে এক মরণ ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ঠা ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নানা কর্মসূচীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নবী নেওয়াজ সরকার বলেন, এ নেতা বহুদিন হলো প্রয়াত কিন্তু তাঁর স্মৃতি কর্ম গুলো আজো কথা বলে। ফজল নেতাকে মৃত্যু সবার কাছ থেকে কেড়ে নিলেও তাঁর সাহসিক নেতৃত্ব হাজারো নেতা কর্মীর হৃদয়ে বেঁচে আছেন। তাঁর সততার সম্মান সবসময় মানুষ তাকে দিয়েছেন।

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ফজলের সাথে আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের দুর্দিনে রাজনীতি করেছি। তার ধ্যান-জ্ঞান ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার গঠন করা। খুবই দুঃখজনক হলো তার মৃত্যুর পর আমরা কোন শোক সভার বা স্মরণ সভা করতে পারিনি। তার মৃত্যুর ২৯ বছর পর হতে যাচ্ছে।

ধর্ম বিষয়ক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী বলেন, যদি কেউ দলের গভীরে ঢুকে তাহলেই খোঁজে পাবে প্রকৃত আদর্শের নেতাদের একজন ফজলুল হক ফকিরকে। নব তারুণ্যের মেলায় যদিও অনেকের অচেনা নেতা ফজল। ত্রিশালের প্রতিটি অঞ্চলে বিরাজমান ছিল ফজলুল হক ফকির।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!