প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদ গ্রেড-১ এ উন্নীত হবার পর প্রথমবারের মতো এ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রজ্ঞাপন তুলে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রজ্ঞাপন তুলে দেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখের সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিএস (প্রাণিসম্পদ) ক্যাডারের কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিসিএস নিয়োগবিধি ১৯৮১ এর ৮ নং শর্ত মোতাবেক ফিডার পদে চাকরির অভিজ্ঞতা প্রমার্জন করায় গত ১৬ আগস্ট তাকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারী করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে সম্মান দিতে জানেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি প্রদান করা তার একটি উদাহরণ। যাদের ত্যগের বিনিময়ে এ দেশটা, যাদের বিনিময়ে আমি মন্ত্রী, আপনারা সচিব-কর্মকর্তা তারা অনেকেই কিছু পাননি। যে ব্যক্তিটি মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন, তাদের পরিবার অসহায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।” মন্ত্রী আরো বলেন, “উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরীতে স্বচ্ছতা ধারণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত শর্ত আরোপ করা যাবে না। এ দেশটা আমাদের সবার। আমাদের দেশের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।”
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, “কার্যক্রমে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। কাজ করতে হবে ন্যায়ের পক্ষে, সরকারের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে।”