ময়মনসিংহের ত্রিশালে সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা ও খুনের প্রতিবাদে এবং হামলাকারিদের ফাঁসির দাবিতে ত্রিশালে কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার বেলা ১১ টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ত্রিশাল রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি কামাল হোসেনের সঞ্চলনায় এ সময়য় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা খানম রুমা, ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, ত্রিশাল পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মেহেদী হাসান নাছিম, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ তরফদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খলিল শান্ত, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাসুদ সুমন, ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম ফজলে রশীদ, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবির, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ত্রিশাল শাখার সভাপতি খোরশিদুল আলম মুজিব, উপজেলা নাট্য সংস্থার সভাপতি নায়ক সোহেল হাবীব প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা ও তার ভাই যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনিরকে হত্যা করা হয়। ত্রিশাল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে নওধার এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক মাসুদের বড় ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে দিনে দুপুরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। গুরুতর ভাবে কুপিয়ে আহত করা হয় নিহতের বাবা সাবেক স্কুল শিক্ষক রইছ উদ্দিন মাষ্টারকে। এঘটনায় মারত্মক ভাবে আহত হয় আরো সোহদর ভাই ভাতিজা বোন যথাক্রমে বাচ্চু মিয়া (৪৮), রাহাত (১৭) ও নার্গিছ আক্তার (৪৫) কে। এরা এখনও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রবিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিক মাসুদের বাবা সাবেক স্কুল শিক্ষক রইছ উদ্দিন মাষ্টারের একটি ছাগল প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনে আনুর উঠানে যাওয়া মাত্র আনুর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ছাগলটির পা ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি জানাজানির পর ছাগলের মালিক পক্ষের সাথে আনু গংদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা বহুগুণে ক্ষীপ্ত হয়ে দেশীয় দাঁড়ালো অস্ত্রে-সস্ত্রে মনিরদের উপর বর্বরচিত হামলার তান্ডব চালায়। তারা ঘটনাস্থলেই নির্মম ভাবে পিটিয়ে সাবেক যুবলীগ নেতা মনিরকে হত্যা করে।