ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর মান্নান তেল পাম্মের সংলগ্ন গত ৩০ জুন মধ্য রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বরমা গ্রামের রুহুল আমিনের কন্যা ছদ্ধ নাম পারুল (১২)। ৩০ জুন মধ্য রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা হয় বলে কিশোরীর মা আকলিমা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান ধর্ষণকারী ত্রিশালের এক প্রতাবশালী মোঃ স্বপন মিয়া পুত্র রানা গত ৪ জুন ধর্ষিতাকে অপহরণ করে। এর প্রেক্ষিতে রানাসহ আরও অজ্ঞাত নামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন ত্রিশাল থানায় একটি অপহণের অভিযোগে মামলা হয়। উক্ত মামলার আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই জাহাঙ্গীর আলম ২৫ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি। রানার নেতৃত্তে ধর্ষিতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ত্রিশাল পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের মান্নান তেলের পাম্প সংলগ্ন স্থানীয় রুবেল মিয়ার বসতঃ ঘরে রানা সহ একাদিক যুবক ৩০ জুন মধ্য রাতে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলে, এ বিষয়ে মামলা বা কাউকে জানালে খুন করে ঘুম করে ফেলিবে।
ধর্ষিতার মা আকলিমা আরও জানান, ধর্ষণকারীর বিচার চেয়ে ত্রিশাল ফুলবাড়ীয়া সার্কেলের এএসপি স্বাগতা ভট্টাচার্য্যরে কার্যালয়ে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালা-গাল করে বের করে দেয়, তিনি এও বলেন ঘটনা মিথ্যা এগুলো নিয়ে বারাবারি করবেন না। তিনি আরও হুমকি দিয়ে বলেন আপনার সাহসত কম নয়, সাংবাদিকদের জানালেন কেন? সাংবাদিকরা কি করতে পারবে?
জানাযায়, রানা প্রতাবশালীর ছেলে হওয়ায়, এসআই জাহাঙ্গীর আলম তাকে বিভিন্ন ভাবে রক্ষা করার ফন্দি ফিকির করেন। এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, অভিযান অব্যাহত আছে, আসামীদের সন্ধান পেলে আমায় জানাবেন।
এবিষয়ে কিশোরীর মা আকলিমা জানান, আমার মেয়েকে ৪ জন গণধর্ষণ করেছে। পরে আমি ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ডাক্তার ডা. ফাইরুজ তাসনিম উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমি আগামীকাল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবো।
ত্রিশাল থানার ওসি মাহমুদুল হাসান পিপিএম জানান, আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। অপরাধী যেই হউক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে ত্রিশাল সার্কেলের এএসপি স্বাগতা ভট্টাচার্য্যের সরকারি নাম্বারে ফোন দিলে এক পুলিশ কনস্টেবল রিসিভ করে জানান, স্যার একটু বিজি পরে ফোন দিবেন, তারপর বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।