ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় দুই পক্ষই হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে৷ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের অনুরোধে ডাকসু সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী টিএসসি এলাকায় ভিড় করা মানুষদের চলে যেতে বলছিলেন৷ এ সময় টিএসসিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান চৌধুরীর ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়৷ একপর্যায়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে মুহুর্তেই মারামারি বেধে যায়।
তবে ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত আরটিভি নিউজকে বলেন, আমরা নিয়মিতই প্রক্টরিয়াল বডির অনুরোধ টিএসসিতে ভিড় না করতে মাইকিং করছিলাম। এ সময় টিএসসিতে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ছিলেন। ছাত্রদল নেতা মাহফুজ বান্ধবী নিয়ে তখন ঢোকেন। ইমাম তার পরিচয় জিজ্ঞেস করে, সে শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে ইমাম চলে যায়। কিন্তু মাহফুজ তাঁকে ধাক্কা দেন৷ এতে ইমামের পা ম্যানহোলে আটকে গেলে খাবার বিক্রেতার ছেলে মানিক দৌঁড়ে গিয়ে ইমামকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু ততক্ষণে ছাত্রদলের অন্য নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমাম ও মানিককে মারতে শুরু করেন৷ টিএসসিতে অবস্থানরত ইমামের বন্ধু সাহাদ আমিনকেও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা মারধর করেন৷ একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন৷ এ ঘটনায় মানিকের হাত ভেঙে গেছে৷
তবে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলম ঘটনাটিকে সদ্যসাবেক ডাকসু সদস্য তানভীর হাসানের ‘ভণ্ডামি’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ এই নেত্রীর অভিযোগ, তানভীরের নির্দেশেই ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে৷ ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আমি নিজেও একদফা মার খেয়েছি৷ ইমাম ছেলেটা একাধিকবার আমাদের দিকে তেড়ে আসে মারতে। উপস্থিত লোকজন তাকে আটকান কোনোমতে৷ এরপর মাহফুজকে নিয়ে আমরা ঢাকা মেডিকেলে যাই। সেখানে ওকে চিকিৎসা দিতে দিতেই সাংবাদিকদের ফোন পাই যে আমরাই নাকি তানভীর ও তার লোকজনের ওপর হামলা করেছি।