জামালপুরের মেলান্দহে চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়শা আক্তার নিপা দালাল কর্তৃক অবরুদ্ধ হলে এ অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি)।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ অবরোধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষে পুলিশের সহায়তায় আয়শা আক্তার নিপার উদ্ধারকার্য পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) জহুরা সুলতানা যূথী।
জানা গেছে, মহিরামকুল গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে শাহ জামালের জমির খারিজের জন্য জনৈক দালাল তোতা মিয়ার মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনে জমির কাগজপত্র ও তথ্যের কমতি থাকায় শুনানির পর আবেদনটি খারিজ করে দেন এসিল্যান্ড জহুরা সুলতানা যুথি। এরপর শাহজামালের খারিজের জন্য পূণ: আবেদন করেন। নতুন আবেদনের ২/৩ দিন পরেই ২৩ মে সকাল ১০টার দিকে শাহ জামালের ভাই জাকির হোসেন, দালাল তোতা মিয়া এবং স্বপনকে সাথে নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার নিপাকে তাৎক্ষণিকভাবে খারিজের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে আয়শা আক্তার নিপাকে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করে ও অবরুদ্ধ করে রাখে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ওই ভূমি সহকারি কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। জাকির হোসেন জামালপুর জজকোর্টে প্রসেস সার্ভেয়ার হিসেবে কাজ করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল করিমের ছেলে জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে সে ফোন ধরেনি।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়শা আক্তার নিপা জানান, আমার দোষ থাকলে প্রশাসনকে জানাতে পারতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জহুরা সুলতানা যূথী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের সহায়তায় ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। ওখানকার লোকদের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনেছি। ঘটনাস্থলের বিস্তারিত আমার উপর মহলকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে কথা বলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।