চলমান মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাজি-বঙ্গবন্ধু-নজরুল জনচেতনাযাত্রা’র অংশ হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধুর চোখে নেতাজী ও নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) ও ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন।
সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. সাহাবউদ্দিন, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক তপন কুমার সরকার, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুলাহ আল মামুন ও নেতাজি-বঙ্গবন্ধু-নজরুল জনচেতনাযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম।
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ত্রিরত্ন হিসেবে আখ্যা দিয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ও ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বাঙালির এই ত্রিরত্ন ছিলেন প্রকৃত ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক সূর্যসন্তান। তারা কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন নি। তাদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।’
মূল বক্তা প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘নেতাজী-বঙ্গবন্ধু ও নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। তারা সবসময় সাম্য ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের দেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয়। তারা সাম্প্রদায়িক উষ্কানির মধ্যদিয়ে আমাদের দেশের সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা এখনো করে যাচ্ছে। এর কারণ আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।’ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও আয়োজন করবে বলে সভাপতির বক্তব্যে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর ঘোষণা দেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ উক্ত চেতনাযাত্রার সাথে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা প্রধানবক্তার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন।