খুলনার কয়রা উপজেলার দশহালিয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানিতে তিনটি গ্রাম ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ারের চাপে বেঁড়িবাধটি ভেঙে যায়। এতে নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছে দশহালিয়া, আটরা ও
গোবিন্দপুর গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। আম্পানের আঘাতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওই অংশে গত ১৩ জুন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা ও মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু এর নেতৃত্বে একটি অস্থায়ি বাঁধ নির্মাণ করে গ্রামবাসি। এতে জোয়ারের পানি উঠা নামা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানিবন্দি মানুষের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে। জোয়ারের চাপে ফের বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
দশহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর মোল্লা বলেন, ‘আম্পানে সময় ডুবে যাওয়া ঘরবাড়িগুলো রিং বাঁধের কারণে জেগে উঠেছিল। বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া সহযোগীতায় ঘরবাড়ি মেরামতও শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেই ঘরের মধ্যি এখন কোমর সমান পানি। এখন কি করবো ভেবে কুল পাইনা।’
চিংড়ি চাষী আব্দুল শেখ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দিন পর ঘেরের রাস্তা জেগে উঠায় মনে ভরষা পেয়েছিলাম। এখনও যে সময় আছে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু অস্থায়ি বাঁধটি ভেঙে সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেল।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কপোতাক্ষের জোয়ারের পানির চাপে অস্থায়ি বাঁধটিসহ প্রায় দুইশ মিটার ভেঙে ফের প্লাবিত হয়েছে তিনটি গ্রাম। সেই সাথে এক হাজার বিঘা চিংড়ি ঘেরও পুনরায় প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের কষ্ট দ্বিগুন হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর স্বেচ্ছাশ্রমে মাধ্যমে অস্থায়ী রিংবাঁধটি দেওয়ায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। অনেকেই ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামত করে নতুন করে বসবাস শুরু করেছিল। চিংড়ি চাষীরাও তাদের ঘেরের পরিবেশ ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন তাদের এলাকা ছাড়ার উপক্রম হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী সেলিম মিয়া জানান, শুনেছি সেখান বাঁধটি ভেঙে গেছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।