শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন

হাসপাতালের ডিউটির সময় রোগী দেখেন চেম্বারে

শরিফুল আলম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে
  • আপডেট রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ২৭৩ দেখেছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চলমান ডিউটি রেখে বাহিরে চেম্বার করে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহেল রানার বিরুদ্ধে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত শনিবার ২৭ মে ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহেল রানার ডিউটি ছিল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। কিন্তু তিনি ২টায় হাসপাতালের ডিউটি রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করেই ডিউটি ফাঁকি দিয়ে চলে যান পৌর সদরের ব্রীজ সংলগ্ন ফয়সাল মেডিসিন কর্ণারে নিজস্ব চেম্বারে। ওই সময় সরেজমিন গিয়ে তাকে ওই চেম্বারে জিসান (৪ মাস) নামে এক শিশু রোগীর প্রেসক্রিপশন করতে দেখা যায়। প্রেসক্রিপশনে তার নামের আগে ডাঃ মোঃ সোহেল রানা এমনকি তিনি মেডিসিন, চর্ম, যৌন, মা ও শিশু এবং মানসিক রোগের বিশেষ অভিজ্ঞ বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ফায়সাল মেডিসিন কর্ণারে রোগী দেখে আসছেন বলে জানান চেম্বারের আশপাশের ব্যবসায়িরা।

ওই সময় তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সোহেল রানা জানান, হাসপাতালে তার ডিউটি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তিনি দুধ কিনতে বাজারে এসেছিলেন এমন সময় একজন গরীব রোগী তাকে অনুরোধ করলে তিনি চেম্বারে বসে তার প্রেসক্রিপশন করে দেন।

কিন্তু শিশু জিসানের মা রোজিনা আক্তার জানান,আমার বাচ্চা অসুস্থ্য এজন্য ২০০ টাকা দিয়ে সোহেল ডাক্তার কে দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন করিয়েছেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি ডিউটিতে ছিলেন না।

এ সময় জরুরী বিভাগে উপস্থিত চিকিৎসক সাকিবেরর কাছে সোহেল রানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহেল খেতে গেছেন।

ওই সময় হাসপাতালে সাংবাদিক গেছে শুনে দ্রুত হাসপাতালে উপস্থিত হন সোহেল রানা। তখন তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাহিদুল হক বলেন, ডিউটিরত অবস্থায় বাহিরে চেম্বার করা অন্যায়। তাছাড়া তার প্রেসক্রিপশনেরর মধ্য ডাঃ শব্দটি লিখতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লোপা চৌধুরী বলেন, ডিউটি চলমান অবস্থায় বাহিরে চেম্বার করার কোন নিয়ম নেই। যদি করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিষয়টা খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা দেখবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

© এই ওয়েবসাইটের  লেখা, ছবি ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি © Developing By :  ESAITBD Software Lab
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD