শিরোনাম
ঈশ্বরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শুভ্রের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ ইসলামপুরে সেলাই মেশিন ও ঢেউটিন বিতরণ ত্রিশালে পাকা ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ ত্রিশালে মে দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা প্রয়াত আ.লীগ নেতা কৃষিবিদ ডক্টর লিটনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পা‌লিত এসএসসি সমমানের পরীক্ষা ত্রিশালে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হল প্রথম দিনের পরীক্ষা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন ত্রিশালে বাগান আলিম মাদ্রাসায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়োগ বঙ্গবাজার আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের ৫লক্ষ টাকা দিচ্ছেন নান্দাইলের তানভীর  পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিক

হাইকোর্টে ঝুলছে হলি আর্টিজান হামলার বিচার

  • আপডেট বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০
  • ২০৬ দেখেছে

হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে নিম্ন আদালতে আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমতি, ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানির জন্য বিচারাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, স্পর্শকাতর এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে নিয়মিত মামলা শুনানি করা যাচ্ছে না। এ জন্য বিলম্ব হচ্ছে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আবদুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ এবং মামুনুর রশিদ রিপন। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছে। তাদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

এদিকে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার চার বছর পূর্তি আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই দিনটি ছিল শুক্রবার। ওই দিন রাত ৮টার পর হঠাৎ করে খবর পাওয়া যায়, গুলশানে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা গেল, এক রেস্তোরাঁয় সশস্ত্র হামলাকারী ঢুকে বেশ কয়েকজনকে জিম্মিও করেছে। কিন্তু ঘটনাটা আসলে কি গুজব নাকি সত্য, সেটি নিশ্চিত হতেই ঘণ্টাখানেক সময় চলে গেল। পরে জানা গেল, হামলাকারীরা ওই রেস্টুরেন্টে থাকা বিদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে।

একপর্যায়ে জানা যায়, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে।

জিম্মি সংকটের ঘটনায় ১ জুলাই সন্ধ্যারাত থেকে দিবাগত রাত, অর্থাৎ ২ জুলাই সারা বিশ্বের গণমাধ্যমের নজর ছিল ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার হলি আর্টিজান বেকারির দিকে।

সেদিনের জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জন নিহত হন। কয়েকবার প্রস্তুতি নিয়েও রাতে অভিযান চালায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ অবসান হয় জিম্মিদশার। পুলিশের অভিযানে মৃত্যু হয় হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!