শিরোনাম
ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদে আমিন সরকারের বিজয় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সোহেল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ, সম্পাদক আসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি আজ সন্ধ্যা ৭টায় সিইসির ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকার প্রাণী নীলগাই, জেব্রা ও কমনইল্যান্ড পরিবারে যুক্ত হলো পাঁচ নতুন ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত ও সম্পাদক রিজন জয়পুরহাটের কালাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত

শুটিং করা নিরাপদ মনে করছেন না ছোটপর্দার শিল্পীরা

  • আপডেট বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০
  • ৪৯৮ দেখেছে
ছোটপর্দার শিল্পীরা

করোনা প্রকোপের মধ্যে শুটিং নিয়ে বেশ দোটানায় পড়েছেন ছোটপর্দার শিল্পীরা। এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজের পক্ষে রয়েছেন কিছু শিল্পী। তাদের অনেকে কাজ শুরুও করেছেন। অন্যদিকে অনেকেই এখন শুটিং করা নিরাপদ মনে করছেন না।

৭২ দিন শুটিং বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে টিভি নাটকের শুটিং শুরু হয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের কারনে ২২ মার্চ টিভি নাটকের শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। তবে অনেকে লকডাউনে বাসায় মোবাইল ক্যামেরায় শুটিং করেছেন।

সময়ের জনপ্রিয় কয়েকজন শিল্পীদের কেউ কেউ যেমন শুটিংয়ে ফিরেছেন, তেমনি অনেকে ঘরে থাকছেন। এখনই তারা শুটিং শুরু করতে চান না। নিতে চান অন্তত আরও একমাস সময়।

অভিনেতা মীর সাব্বির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, করোনাভাইরাস শিগগির যাবে বলে বলেই মনে হচ্ছে না। তাই আমাদের এভাবেই শুটিং করতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

গত মাসের শেষ থেকে শুটিং করছেন লাক্সতারকা উর্মিলা শ্রাবন্তি কর। এরমধ্যে তিনি চারটি নাটকে কাজ করেছেন। জানালেন, আরও কয়েকটা কাজ শিগগির শুরু করবেন; সেখানে নাটক ছাড়াও বিজ্ঞাপন থাকবে। যেগুলার শিডিউল দেয়া হয়েছে।

উর্মিলা বলেন, প্রায় ৩ মাস বাসায় থাকতে থাকতে অস্বস্তি লাগছিল, হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলাম। অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম করোনার এই অবস্থা হয়তো পুরো বছরটাই থাকবে। স্বাভাবিক হতে হয়তো আরও একবছর লাগবে। তাই করোনার সঙ্গেই জীবনটাকে ‘ইউজ টু’ করে নেয়া ছাড়া উপায় দেখলাম না। সচেতন থেকেই কাজ শুরু করেছি।

তবে চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবুরা ঠিক এখনই ফিরতে চাননা শুটিংয়ে। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, এটি একটি স্বাধীন পেশা। আমি যদি আমার কাজ নিরাপদ মনে না করি তাহলে শুটিং করবো না। এছাড়া আমাদের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি এই সময়টা আরো পর্যালোচনা করতে চাই। তারপর শুটিংয়ে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তড়িঘড়ি করে কাজে ফিরে রিস্ক নেবো না। এই সময়ে আমাদের ঘরে থাকায় নিরাপদ মনে করি।

ফজলুর রহমান বাবু বলেন, যখন আমরা ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছিলাম, তখনকার চেয়ে এখন সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। আগে শুনতাম, করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, এখন শুনছি কাছের মানুষ মারা যাচ্ছে। আগে দূরে রোগীর খবর শুনতাম, এখন পাশের ফ্ল্যাটের বা পাশের বাড়ির মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাচ্ছি। আগে জীবন, পরে জীবিকা; তাই আপাতত শুটিংয়ে যাচ্ছি না। হয়তো যাব, পরিস্থিতির যদি উন্নতি হয়। আরও এক মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাই।

গেল তিন মাসের বেশি সময় ধরে ঘরেই আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শুটিংয়ে এখনই অংশ নিতে চান না তিনিও। মেহজাবীন বলেন, অনেকে শিডিউল চেয়েছেন। কিন্তু আমি এখনো কাজ করার মতো পরিবেশ পাচ্ছি না। গত তিন মাস ঘরেই থাকছি সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে। শুটিংয়ে তো আমরা সবাই ফিরতে চাই, কিন্তু সময়টা খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে শুটিং করবো না। কবে নাগাদ ফিরবো তাও বলতে পারছি না।

চলতি সময়ের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো নিজের ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আমি এখনো নিরাপদ অনুভব করছি না। তাই এই সময় শুটিংয়ের বিষয়টি মাথায়ই আনছি না। সমিতিগুলো যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে কতটুকু সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে, সেগুলো দেখার বিষয়।

অভিনেতা জোভান ফিরেছেন শুটিংয়ে। কিন্তু তিনি আগের মতো জমজমাট অবস্থা দেখছেন না। বললেন, শুটিংয়ে অংশ নিয়েছি ঠিকই তবে কাজ করে শান্তি পাচ্ছি না। সচেতনতা অবলম্বন তো করতেই হচ্ছে, সেই সাথে কষ্টও করতে হচ্ছে। দূরত্ব রেখেই কাজ করছি। ইউনিটে লোকজন কম থাকছে। নিজেরা নিজেদের কাজগুলো করতে হচ্ছে। প্রোডাকশনের লোক মাত্র একজন থাকছে যার জন্য একটু কষ্টই হয়।

জোভান বলেন, উত্তরা বা অন্যান্য শুটিং হাউজগুলোর চেয়ে নিজেদের বাসার মধ্যে শুটিং করছি বেশি। যেমন আমি যে কাজগুলো করেছি সেগুলো দুইজন পরিচালকের অফিস ও বাসায় শুটিং করেছি। সেখানে যথেষ্ট স্পেস আছে আর তাদের টিম সব সময় সেখানেই থাকছে। যার কারণে খুব একটা রিস্ক থাকছে না।

শুটিংয়ে ফেরা নিয়ে অভিনেতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, লকডাউনের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ভাবে শুটিং করতে চেয়েছেন। কেউ কেউ বিকল্প মাধ্যম মোবাইল ক্যামেরায় শুটিং করেছেন। তাই আন্তঃসংগঠনগুলো শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখানে আমাদের সংগঠনের কিছু নিয়ম-নীতি মেনেই শুটিং করার কথা বলা হয়েছে। একইসাথে সরকারি বিধি-নিষেধও মেনে শুটিং করার কথা আমরা বলেছি। এখন যারা শুটিং করছেন তারা নিজেদের সেফটি নিয়েই শুটিং করছেন। যারা নিরাপদ মনে করছেন না তারা ঘরে থাকছেন। আমি এখনো শুটিং শুরু করিনি। আরো কিছুদিন পরিস্থিতি দেখতে চাই। তারপর শুটিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!