রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০’র ওপর মতামতের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আরও একমাস সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দলের পক্ষে দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।
চিঠিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে: নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল আইন রয়েছে, তার মৌলিক বিধানাবলী অক্ষুন্ন রেখে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন সম্পর্কিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর বিধানাবলী উক্ত আইনে না রেখে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০ নামে আলাদা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে: কমিশন থেকে উক্ত আইনের উপর মতামত দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, এই আইনের উপর মতামত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় মতামতের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দলের অভ্যন্তরে একাধিক ফোরামে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
চিঠিতে আরও যোগ করা হয়েছে: তাছাড়া দেশের এই প্যানডেমিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এই ধরনের একটি মৌলিক আইনের খসড়ার উপর মতামত প্রদানের জন্য স্টকহোল্ডারদের মাত্র ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত অপ্রতুল।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানিয়েছেন: বর্তমানের প্যানডেমিক পরিস্থিতি ভাল হলে আমাদের দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে এ বিষয়ে মতামত প্রদান করবেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দলের বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যথাযোগ্য প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে মতামত প্রদান করবো।
রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০’র খসড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছ। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারীকে সদস্য রাখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার সময়সীমা তুলে দেওয়া প্রস্তাব করেছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী যেকোনও দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কোনও নতুন দলের জন্য নিবন্ধন পাওয়া সম্ভব হবে না-এমন প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে খসড়ায়।
এরআগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন প্রণীত খসড়া ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন ২০২০’ দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত দিতে বলেছে ইসি। দলগুলোকে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের মতামত নির্বাচন কমিশন সচিবের ই-মেইলে যোগে পাঠাতে বলা হয়েছে।