বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ চূড়া বা পিকের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। গবেষকদের ধারণা, আরো দুই সপ্তাহ পর শনাক্তের হার কমতে শুরু করবে। বিভিন্ন দেশে করোনার চাল-চিত্র বিশ্লেষণ করে এমন আভাস দিচ্ছেন তারা। তবে কেউ কেউ বলছেন, নিশ্চিত ধারণা পেতে নমুনা পরীক্ষা আরো বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এখন চলছে ১৬ সপ্তাহ। প্রথম শনাক্তের ২৮ দিন পর ৬ এপ্রিল কোভিড-নাইনটিন রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়, ১৪ এপ্রিল ছাড়ায় এক হাজার। ১০ হাজার ছাড়ায় ৪মে, ২০ হাজার ১৫ মে এবং ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২ জুন। এর পরের ৫০ হাজার বেড়েছে মাত্র ১৬ দিনে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখি সংক্রমণ ও মৃত্যুর গড় সংখ্যা মোটামুটি একই জায়গায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আর না বাড়লে চলতি সময়কে পিকটাইম বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫ দশমিক ৫ পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে ১৭ জনে একজন, পাকিস্তানে ৬ জনে একজন এবং ভুটানে ৩৩২ জনে ১ জন শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান সংক্রমণের হার অব্যাহত থাকলেও প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার পরীক্ষা করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিক টাইমের পর যে কোন ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর সংক্রমণ দ্রুত দমন করতে পারলে, পিক টাইমের স্থায়ীত্বও কমে আসে।
বলা হয় করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। কিন্তু এর ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
এর মধ্যে প্রথমেই আসে ইতালির নাম। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় ৪৫ দিনে। স্পেন ৫০ দিনে ও যুক্তরাষ্ট্র ৫৫ দিনে। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণের পিক টাইম স্থায়ী ছিল ৪২ দিন।