শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

ফাইনালে পিএসজিকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ

Reporter Name
  • আপডেট সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০
  • ৫০৮ দেখেছে

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটা ফাইনালের মতোই হয়েছে। প্রথমার্ধে দুই দলের লড়াইটা ছিল সমানে সমান। গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান গড়ে দেন কিংস্লে কোম্যান। তাঁর করা একমাত্র গোলে লিসবনে রূপকথার রাত দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে পিএসজির। ফরাসি ক্লাবটির স্বপ্ন ভেঙে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুট পরল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।

পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে শিরোপা ঘরে তুলল বায়ার্ন। এবারের মৌসুমে এটি তাদের ট্রেবল শিরোপা। এর আগে বায়ার্ন জিতেছে বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ। ক্লাব ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রেবল জিতল দলটি। ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রথমবার ট্রেবল জিতেছিল তারা।

পিএসজির প্রথম, নাকি বায়ার্ন মিউনিখের ষষ্ঠ? এ প্রশ্নের উত্তর জানতেই লিসবনের দিকে তাকিয়ে ছিল ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু প্রথমবার ফাইনালে ওঠা পিএসজি পারল না ইতিহাস হতে। বরং ঘাম ঝরানো লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল বায়ার্ন।

ফরাসিদের ২৭ বছরের আক্ষেপ পূরণ করতে পারল না পিএসজি। সবশেষ কোনো ফরাসি দল ইউরোপসেরার প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। সেবার এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপাটি জিতেছিল অলিম্পিক মার্শেই। এত বছর পর এবার পিএসজিকে নিয়ে সেরা হওয়া স্বপ্নে মরিয়া ছিল ফ্রান্স। কিন্তু দুর্দান্ত বায়ার্নের সামনে ফিকে হয়ে গেল ফরাসিদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।

জমজমাট এ লড়াইয়ে শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা। বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজির আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বায়ার্ন। কিংস্লে কোম্যানের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে গেল বায়ার্ন।

শুরু থেকেই গোছালো ফুটবল খেলে বায়ার্ন। ম্যাচের ৬২ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রাখে জেনাব্রি-লেভানদোভস্কিরা। কিন্তু বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও রক্ষণ আগলে রাখে পিএসজি। তাতে বেশ কয়েকবার আক্রমণে এসেও ফরাসি গোলরক্ষকের বাধা এড়াতে পারেনি জার্মানের ক্লাবটি।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে বড় সুযোগ পান নেইমার। বায়ার্নের ডি-বক্সের কাছ থেকে শট নেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক নয়্যায়ের পায়ে লেগে বল ফিরে আসে। ফিরতি বলে আবারও শট নেন ব্রাজিলীয় তারকা। লাফিয়ে পরে বায়ার্নকে রক্ষা করেন নয়্যার।

ম্যাচের ২২ মিনিটে লেভানদোভস্কি বায়ার্নের হয়ে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। তাঁর দুর্বল শট বাধা হয় সাইডবার।

দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণ থেকে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাঁর জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

এর ভেতর ২৫ মিনিটে ধাক্কা খায় বায়ার্ন। ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন জেরোম বোয়াটেং। তাঁর জায়গায় নিকোলাস সুলেকে মাঠে নামান বায়ার্ন কোচ। এরপর ডাভিসের করা ফাউলের কারণে কর্নার পায় পিএসজি। কিন্তু কর্নারের সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথমার্ধে কোনো দলই পায়নি পায়নি জালের দেখা। বিরতির আগে বায়ার্ন শিবিরে ভীতি ছড়ান এমবাপ্পে। কিন্তু তাঁর নেওয়া শট ব্যর্থ হলে গোলশূন্য থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।

দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের আক্রমণের ধার বেড়ে যায়। ৫৯ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে হেডে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন কোম্যান। এরপর রক্ষণ ধরে খেলে বায়ার্ন। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে-ডি মারিয়ারা।

এর মাঝে ৮০ মিনিটে লেভানদোভস্কিকে ধাক্কা দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। ইনজুরি সময়ে অবশ্য নেইমারকে শেষ সুযোগ করে দেন এমবাপ্পে। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের কাছ থেকে নেইমারকে বল বাড়ান তিনি। তবে সতীর্থের বাড়ানো বলে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে পিএসজিকে হতাশ করেন ব্রাজিল সুপারস্টার। শেষের দিকে আর গোল না আসলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। আর ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন নয়্যার-কোম্যানরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

© এই ওয়েবসাইটের  লেখা, ছবি ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি © Developing By :  ESAITBD Software Lab
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD