পঞ্চগড়ে নতুন করে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৫৮ জনে । সোমবার রাতে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একইসঙ্গে তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ২০২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। এরপর নমুনা রংপুর মেডিকেল ও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ২২ জুন পর্যন্ত ১৯১৫ জনের ফলাফলের মধ্যে ১২৮ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ জন সুস্থ হয়েছে এবং তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫ বছর বয়সী এক মুক্তিযোদ্ধা,বোদা উপজেলার সাকোয়ায় ৬৬ বছর বয়সী এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটিতে ৬৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার করোনা শনাক্ত দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঢাকাফেরত একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি গেল ১৭ জুন ঢাকা থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২৩ বছর বয়সী যুবক শালডাঙ্গা ইউনিয়নে ফেরত আসলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১৮ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে সোমবার সন্ধ্যায় তার ফলাফল আসে করোনা পজিটিভ।

এদিকে সদর উপজেলার দুজনের করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন চাকলাহাট ইউনিয়নের নারায়ণপুর পণ্ডিতপাড়া গ্রামের শ্যামলী নৈশ্য কোচের চালক । তার বয়স ৫০ বছর। তিনি গেল ১৭ জুন পঞ্চগড়ে নিজ বাসায় ফিরে আসলে তার প্রচণ্ড জ্বর আসে।

তারপর তিনি নিজেই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তার নমুনা স্বাস্থ্য বিভাগে প্রদান করে। সোমবার তার নমুনার ফলাফল আসে করোনা পজিটিভ। সদর উপজেলার আরেক ব্যাক্তি গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের ভাউলা পাড়া। তিনি স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায় গত ১৮ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

২২ জুন পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে তেঁতুলিয়ায় ৫০ বছর বয়সী এক নারী, সদরে ৫৫ বছর বয়সী এক দোকানদার ও ২২ বছর বয়সী এক যুবক,বোদায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর ও দেবীগঞ্জে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী মারা গেছে।