ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের আমিয়ন ডাঙ্গুরী গ্রামের মাও: ফজলুল হকের বাড়ীতে রাজা-রাজুকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ। উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু রাজা-রাজু, এমনটি দাবি করছেন ষাঁড় দু’টির মালিক রফিকুল ইসলাম।
রাজা ফিজিয়ান জাতের গরু তার বয়স ৩ বছর ৪ মাস ও রাজু শাহি পাল জাতের তার বয়স ৩ বছর। রাজার ওজন ২৪ মণ তাই ১৫ লাখ এবং রাজুর ওজন ২২ মণ হওয়ায় ১২ লাখ টাকা। ষাঁড় দু’টি এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে বলে মনে করছেন ষাঁড়ের মালিক রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম অবসর সময়ে তিনি গরু খামারের পরিচর্যার কাজ করে থাকেন। ষাঁড় দু’টি দেশীয় খাবার দিয়ে লালনপালন করা হয়েছে। প্রতিদিন গমের ভুসি, ভুট্টা ছাল বা ভুসি, ধানের গোড়া, মশুরের ডালের ভুসি খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে। গরু দু’টি লালন পালনে রাত দিন পরিশ্রম করে রাজা-রাজুকে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানান রফিকুল ইসলাম।
মালিক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজা-রাজুর পেছনে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা। তার ইচ্ছে এবারের ঈদে গরু দু’টি বিক্রি হবে। করোনা মহামারি কারনে দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি তবে আশা করছি গরু দু’টি এবছর বিক্রয় করতে পারবো।
আমিয়ন ডাঙ্গুরী গ্রামবাসী জানান, এবার কোরবানীর ঈদে গরু দু’টি বিক্রি করা হবে- এই খবরে ক্রেতাসহ দর্শনাথীরা ভিড় করছেন আমিয়ন ডাঙ্গুরী গ্রামে। অনেকেই আবার রাজা-রাজুর সাথে সেলফি তুলছেন।