প্রতিবন্ধী দুই ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

রা‌কিবুল হাসান ফরহাদ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১
  • ২০১ দেখেছে

ময়মনসিংহের ত্রিশালে শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: রনি মিয়া ও মো: জনি মিয়া দুই সন্তানকে বাঁচাতে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে এক দম্পতি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে আর পেরে উঠছেন না মা-বাবা। সহায় সম্বল যা কিছু ছিল তা এরই মধ্যে সন্তানদের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে শেষ করে দিয়েছেন তারা। এখন হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তা ছাড়া অসুস্থ দুই ছেলেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। বাধ্য হয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রুহুল আমিন মাদানী , জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাবা মো. হেলাল উদ্দিন ।

পুরো শরীর অচল ও বিকলাঙ্গ। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকেন। এমনকি দু’হাত দিয়ে খাবার খেতেও পারে না। স্বাভাবিক কোনো খাবার খেতে পারে না। অপুষ্টির কারণে তার শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গেছে। তবে তার চাহনীর মধ্যে যেন বেঁচে থাকার আকুতি। বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, জন্মের পর ছেলে দুইটি কিছু দিন সুস্থ ছিল কিন্তু ৬/৭ বছর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ বলে সন্তানকে তো মা-বাবা ফেলে দিতে পারে না। তাই ওদেরকে সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা শুরু করি। গত ১৪/১৫বছরে সব শেষ করেছি সন্তানকে সুস্থ করতে। কিন্তু লাভ হয়নি। এখন চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার মতো আর কোনো স্বামর্থ্য নেই আমাদের। তবে শুনেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানব দরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদেরকে একটু দয়া করেন তাহলে হয়তো ছেলে দুইটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবো।

তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলেদুইটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে মা-বাবা হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে অপরাধী মনে হবে। তাই বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ, আপনারা একটু আমাদের পাশে দাঁড়ান।’ ছেলেদুটির বাবা হেলাল উদ্দিন একজন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ। হেলাল উদ্দিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজোড়া গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির বাড়ি ।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোবাইল নম্বর, ০১৭৯৫ ২০৭৪১৭ (নগদ + বিকাশ)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংক্রান্ত আরও খবর

ফেইসবুক পেজ

error: Content is protected !!