আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটের দিন ধার্য করে কালিয়াকৈর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত হওয়ায় এই পৌরসভার আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল এই অঞ্চলটির ভোটাররা অন্যসব এলাকা থেকে অনেকবেশি সচেতন। দূর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে এই পৌরসভার ভোটারদের একটা শক্ত অবস্থান থাকে। তারা চান তাদের ভোটে স্বচ্ছ ইমেজের একজন পৌরপিতা নির্বাচিত হোক। এমন চয়েজের ক্ষেত্রে এলাকায় ক্লিনম্যান খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তরুন নেতা রেজাউল করিম রাসেলকেই তারা পছন্দের প্রথম তালিকায় রাখছেন।
উল্লেখ্য যে, রেজাউল করিম রাসেল এর আগে কালিয়াকৈর উপজেলা পারিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করলেও গতবার পৌর নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধিতা ও সরাসরি হস্তক্ষেপে ভোট ডিপ্লোম্যাসি মাধ্যমে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। গত পাঁচ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ক্ষুব্ধ জনতার চায়ের আড্ডায় একটাই আলোচনা এইবার কোন প্রভাবশালী নেতা কিংবা নেতৃত্বের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিতে রাজী নন তারা। যেকোন মূল্যে তারা এইবার রাসেলকেই পৌরপিতা হিসাবে পেতে চান।
গাজীপুরের সবচেবেশী আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই অঞ্চলটির বিভিন্ন স্তরের ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানান-কালিয়াকৈর পৌর নির্বাচনে রাসেলের কোন বিকল্প নাই। চায়ের স্টলে আড্ডারত কয়েকজন তরুন স্পষ্টতই বলেন, কালিয়াকৈর এর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তারা এইবার রাসেলকেই বেছে নিবেন। আমাদের এই প্রতিবেদক কালিয়াকৈর পৌর অঞ্চলের নারী-পুরুষ, ছাত্র, যুবক, শিল্পপতি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মতামত জরিপে জানতে পারেন এলাকায় বসবাসরত প্রতি দশজনের আটজনই চান রাসেলই এইবার পৌর মেয়র হোক।
চন্দ্রা চৌরাস্তা মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডারত কয়েকজন যুবকের কাছে আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে বিএনপি সমর্থক পরিচয় দিয়ে বলেন-কালিয়াকৈর পৌরসভার উন্নয়ন চাইলে রাসেল ভাইকেই ভোট দিতে হবে। গতবারের দূর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটাতে পারে তারজন্যে আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকদের আগে থেকেই সজাগ থাকতে হবে। রাসেল ভাইয়ের জয় ছিনিয়ে নেয়া সেই দূবৃত্ত গ্রুপটিকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। কোন অশুভ শক্তির কাছেই কালিয়াকৈর এর উন্নয়ন বিঘ্নিত হতে দেয়া যাবে না।