করোনা মহামারিতে বেশি মারা যাচ্ছেন বয়স্করা। পাঁচ দিনে মারা যাওয়া ১৫৭ জনের মধ্যে ১৩০ জনেরই বয়স ৫০ বছরের ওপরে। মোট প্রাণহানিতে এই হার ৪০ শতাংশেরও বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রাণঘাতী করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে পঞ্চাশোর্ধরা। তবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের জটিলতায় বেশি ভোগেন। বাইরে বের না হলেও ঘরে তরুণদের মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছেন তারা। বয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী , পাঁচ দিনে করোনায় মারা যাওয়া ১৫৭ জনের মধ্যে ১৩০ জনই ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সী। এ সময়ে মারা গেছেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২০ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৮ জন।
চিকিৎসা গবেষকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যায় বেশি ভোগেন বয়ষ্করা। শারীরিক অন্য জটিলতা থাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যু ঝুঁকি।
মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ শতাংশেরই বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ৭ শতাংশ ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমার। দশ বছরের নিচে এমন শিশু তিন শতাংশ। চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, তরুণরা জীবিকার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেশি যাচ্ছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানায় রয়েছে উদাসীনতা। তাই সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে অনেক গবেষকরা বলেছিলেন, তাপমাত্রা বাড়লে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমবে। তবে কভিড-১৯ কিছু দিন পরপর চরিত্র পাল্টাতে থাকায় ভারত ও বাংলাদেশে জুনে সংক্রমণ বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে না মানলে মহামারি পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হবে, আশংকা চিকিৎসকদের।